অপরাধ-আইন-আদালত

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিএমপির দুঃখ প্রকাশ

  প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২৩ , ১০:০০:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সুপ্রিমকোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক দুঃখ প্রকাশ করেছেন।বুধবার সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকরা পুলিশের পিটুনির শিকার হন।

বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিমকোর্টে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ।এ বিষয়ে তিনি ল’ রিপোটার্স ফোরামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ডিবিপ্রধান বলেন,বুধবারের ঘটনায় তারা দুঃখিত।সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত।ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট থাকবেন।

তার বক্তব্যের পর টেলিফোনে ডিএমপি কমিশনার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সঙ্গে কথা বলেন।টেলিফোনে সভাপতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়টি দেখা হবে।

আলোচনায় সাংবাদিক নেতারা রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদকে ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে আরও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম নেতারা ঘটনা বুধবার প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন।ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন,এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত।দায়িত্ব পালনের সময় সবার সতর্ক হওয়া উচিত।এ সময় তিনি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী বরাবর আবেদন পেশ করেছে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম।

বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতির নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি এ আশ্বাস দেন।এ সময় প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।সে অনুয়ায়ী আবেদনটি করা হয়।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার,সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারোয়ার হোসেন ভুঞা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি দিদারুল আলম দিদার,সাবেক সভাপতি এম বদিজ্জামান ও সাবেক সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন।

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের সময় আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিমকোর্র্ট বার নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও মারধর করে পুলিশ।এতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

১৫ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ চলে।১৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিতীয় ও শেষ দিনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

আরও খবর

Sponsered content