প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:০৭:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী জানুয়ারিতে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার পর নেওয়া হবে।তবে সব কিছু নির্ভর করছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান,গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।চলতি মাসেই মধ্যেই প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে।এরমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ডিপিই।এই ধাপে পরীক্ষায় অংশ নেবেন ময়মনসিংহ,খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা।
ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন,আপাতত প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ নিয়ে আমরা ব্যস্ত।আশা করছি এ মাসেই মধ্যে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করতে পারব।দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথমে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষা শেষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
ডিপিই নিয়োগ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন,৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ফেব্রয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচন ও এসএসসি পরীক্ষার মাঝামাঝি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।তবে সবকিছু নির্ভর করছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের (রংপুর,বরিশাল ও সিলেট) ১৮ জেলায় একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম ধাপে প্রতি পদের বিপরীতে লড়েছেন ১৩০ প্রার্থী
প্রথম ধাপে পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী।এ ধাপে বরিশাল,রংপুর ও সিলেট বিভাগের ৭২ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।ডিপিইর তথ্যানুযায়ী,তিন বিভাগের সরকারি প্রাথমিকে শূন্য পদ রয়েছে ২ হাজার ৭৭২টি।সেই হিসেবে প্রতি পদের বিপরীতে লড়বেন ১৩০ জন। তবে,কোটা সুবিধার কারণে নিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন নারী প্রার্থীরা।