চাকরির খবর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর

  প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৩৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) আগামী ২৪ নভেম্বর হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন,২৪ নভেম্বর ধরে আমরা প্রথম ধাপের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি।যদি কোনো অনাকাক্ষিত ঘটনা না ঘটে,তাহলে ২৪ তারিখই পরীক্ষা হবে।আগামী সপ্তাহে অধিদপ্তরের একটি সভা রয়েছে।সেই সভার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।’

সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভাগগুলোর কেন্দ্রের সংখ্যা ও প্রার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) শিগগিরই নেওয়া হবে।লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভাগগুলোয় কেন্দ্রসংখ্যা ও কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য প্রয়োজন।এ জন্য জেলার সম্ভাব্য কেন্দ্রের তালিকাসহ সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার সংখ্যা সরেজমিন যাচাই করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।কেন্দ্রের নাম,কেন্দ্রের ঠিকানা ও আসনসংখ্যার তালিকা পাঠানোর শেষ সময় ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর।

নিয়োগপ্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ।

দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ,খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল।তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।আবেদনের শেষ সময় ছিল ৮ জুলাই।

নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এবার বিভাগ ধরে ধরে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছিল,একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে।এ কারণে ফল প্রকাশও পিছিয়ে যায়।অনেকে আবার উত্তীর্ণ হয়েও যোগদান করেন না। ফল প্রকাশের আগেই তাঁদের হয়তো অন্য কোথাও চাকরি হয়ে যায়।তাই নিয়োগপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রার্থীদের সুবিধার জন্য বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content