আন্তর্জাতিক

সম্মতিহীন যৌন মিলনই’ ধর্ষণ বলে গণ্য হবে

  প্রতিনিধি ১৬ জুন ২০২৩ , ৫:৩৯:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ধর্ষণকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত এবং যৌন সম্পর্কে সম্মতির সর্বনিম্ন বয়স আগের থেকে তিন বছর বাড়িয়ে যৌন অপরাধ সংক্রান্ত আইনে বড়সড় সংস্কার আনল জাপান।

দেশটিতে এখন থেকে ‘সম্মতিহীন যৌন মিলনই’ ধর্ষণ বলে গণ্য হবে,আগের সংজ্ঞায় ধর্ষণ হত কেবল ‘জোরপূর্বক যৌন মিলনে’।

এ সংস্কারের ফলে জাপানের আইন এখন অন্যান্য দেশের আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হল,বলছে বিবিসি।

দেশটিতে আগে যৌন সম্পর্কে সম্মতির আইনি বয়স ছিল ১৩,এখন সেটা বেড়ে ১৬ হল।

সমালোচকরা বলছেন,জাপানের আগের আইনগুলোতে কাউকে যৌন মিলনে বাধ্য করা হলে,তার জন্য সুরক্ষা ছিল না।এই ধরনের হামলা বা আক্রমণের অভিযোগ করতেও অনুৎসাহিত করা হত।এসব বিষয়ে এমনকী আদালতের রায়েও নানান অসামঞ্জস্যতা দেখা যেত।

সবমিলিয়েই আইনগুলো পাল্টাতে ব্যাপক দাবি উঠেছিল।

শুক্রবার জাপান পার্লামেন্ট ডায়েটের উচ্চকক্ষে নতুন আইনগুলো সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

এসব আইনে ৮টি এমন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে যৌন মিলনে অসম্মতি জানানো,কিংবা অসম্মতি জানানোর চিন্তা বা তা প্রকাশের সুযোগ দুরূহ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এসব পরিস্থিতির মধ্যে আছে কাউকে মদ বা মাদকদ্রব্যের সাহায্যে নেশাগ্রস্ত করে,সহিংসতা বা হুমকির মুখে, আতঙ্কিত বা স্তব্ধ অবস্থায় যৌন মিলন।তাছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কিংবা ‘অসম্মতি জানালে তার পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ’ থেকে যৌন মিলনের মতো পরিস্থিতির কথাও আইনগুলোতে স্থান করে নিয়েছে।

১৯০৭ সালে যৌন সম্পর্কে সম্মতি দেওয়া সংক্রান্ত আইন কার্যকর হওয়ার পর এবারই প্রথম জাপান সম্মতির বয়স বাড়াল।

তার আগ পর্যন্ত, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র জাপানেই যৌন মিলনে সম্মতি দেওয়ার বয়স ছিল সবচেয়ে কম।

তবে জাপানে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কারও সঙ্গে যদি কেউ যৌন মিলন করে,তাকে কেবল তখনই সাজা পেতে হবে – যদি তার বয়স ভিক্টিমের চেয়ে পাঁচ বছর বা তার বেশি হয়।

ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানোর সময়সীমাও ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হয়েছে, যেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অভিযোগের ব্যাপার চেপে না রাখেন।

আইন সংস্কারের ফলে দেশটিতে এখন গোপনে যৌন কার্যকলাপের ছবি বা বিনা অনুমতিতে স্কার্টের নিচের ছবি তোলার মতো কর্মকাণ্ডও নিষিদ্ধ হয়েছে।

২০১৯ সালে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত অনেকে খালাস পাওয়ায় জাপানজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল; শুরু হয়েছিল ফুল হাতে নিয়ে বিক্ষোভ।

এরই অংশ হিসেবে ওই বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসের ১১ তারিখ জাপানজুড়ে আন্দোলনকর্মীরা একত্রিত হয়ে নারী নির্যাতনের বিচার এবং যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকারদের সঙ্গে সংহতি জানাতেন।

আরও খবর

Sponsered content