প্রতিনিধি ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৩:২৬:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো।।বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া গ্রামে ফরাজি বাড়ির সবাই এলাকায় সচ্ছল হিসেবে পরিচিত।সেই বাড়ির স্বপন ফরাজি কয়েক বছর আগে ভূমিহীন সেজে ৫০ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত নেন।ওই জমি বিক্রি করে ফের ভূমিহীন সেজে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকা বসতঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।চরবাড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন আওয়ামী লীগের শাসনমালে এ রকম নানা সুবিধা পেয়েছেন।

৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর বিষয়টি জানাজানি হয়। খাসজমি ও আশ্রয়ণের ঘর বরাদ্দ বাতিল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন হাওলাদার।
বরিশাল-শায়েস্তাবাদ সড়কে তালতলী সেতু এলাকাটি বিনোদনপিপাসুদের জন্য গত কয়েক বছরে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।সেতুর উত্তর প্রান্তের ঢালে সড়কের দুই পাশে বিপুল খাসজমি রয়েছে।যেখানে দুটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁও স্থাপিত হয়েছে।সেখানে ৫০ শতাংশ খাসজমি ২০১৯ সালে বন্দোবস্ত নিয়েছেন স্বপন ফরাজি ও তাঁর স্ত্রী রুমা বেগম।পরে ওই জমি ডাক বিভাগের সাবেক কর্মচারী (দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত) আলাউদ্দিন সিকদারের কাছে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।আলাউদ্দিন সেখানে মাছ চাষ ও সবজি আবাদ করেছেন।
এদিকে জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে গত বছর ইউনিয়নের সাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকা ঘর বরাদ্দ নেন স্বপন।দখলে রাখতে তিনি এখন ওই ঘরেই বাস করছেন।
অভিযোগকারী যুবদল নেতা আল আমিন জানান,আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেতে তিনিও আবেদন করেছিলেন।যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর নাম নিবন্ধিত হয়।পরে রাজনৈতিক কারণে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।তাঁকে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৩ নম্বর ঘরটি স্বপনকে দেওয়া হয়।ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বশির হোসেন জানান,ফরাজি বাড়ির লোকজনের অনেক জমি রয়েছে।আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাবে ভূমিহীন সেজে খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে নিয়ম ভেঙে বিক্রি করেছেন স্বপন।
শ্রমিক লীগ নেতা স্বপন ৫০ শতক জমি ও ঘর দুটি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহারুল ইসলাম বলেন,একই ব্যক্তি জমি ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এই দুটি সুবিধা পেতে পারেন না।স্বপন ফরাজির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।

















