অর্থনীতি

শতভাগ সফল ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আবারও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে

  প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ২:৪০:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।শতভাগ সফল ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আবারও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।কৃষিঋণ বিতরণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ৮ ব্যাংক।ব্যর্থ ব্যাংকগুলো হলো ন্যাশনাল ব্যাংক,সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক,ইউনিয়ন ব্যাংক,এবি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক,গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক।এসব ব্যাংক লক্ষ্যের তুলনায় ২ হাজার ৬৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম বিতরণ করেছে। তবে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোর অবণ্টিত কৃষিঋণের অর্থ শতভাগ সফল ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমিন,বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা,বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক মো. সরোয়ার হোসেন,সাঈদা খানম,কৃষিঋণ বিভাগের পরিচালক কানিজ ফাতিমাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সাজেদুর রহমান খান বলেন,পশুপাখি লালন-পালনের জন্য নিজস্ব জমির পাশাপাশি লিজকৃত জমির বিপরীতেও কৃষকদের ঋণ দেওয়া হবে।এমনকি ছাদকৃষিতেও বিনিয়োগ করবে ব্যাংকগুলো।যারা এই ঋণ বিতরণে ব্যর্থ হবে,তারা বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার কমন ফান্ডে (বিএসিএফ) জমা দেবে।এই অর্থগুলো শতভাগ সফল ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আবারও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

কৃষিঋণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করা হবে,যা গত অর্থবছরে ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা, বেসরকারি ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বিতরণ করবে।এদিকে বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ করেছে,যা অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ১০৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে,গত অর্থবছরে ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন কৃষি ও পল্লিঋণ পেয়েছেন।এর মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের (এনজিও) মাধ্যমে ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ জন ঋণ পেয়েছেন। ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৩ জন নারী ১২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লিঋণ পেয়েছেন।এ ছাড়া গত অর্থবছরে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৩ হাজার ৪৪৯ জন কৃষক প্রায় ১৮ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন।আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) তাদের নিজস্ব অর্থায়নে যথাক্রমে ২৬ কোটি ও ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে,কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা,এজেন্ট ব্যাংকিং,কন্ট্রাক্ট ফার্মিং,দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ) এবং ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ ব্যবহার করতে পারবে।এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।এ ছাড়া ঋণ নীতিমালায়, ঋণের আওতায় নেই এমন নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা হবে।পল্লি অঞ্চলে আয়-উৎসারী কর্মকাণ্ডে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৫ লাখ টাকা।আর ছাদকৃষির পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি,কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষেও ঋণ দেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content