সারাদেশ

রাজশাহীতে ৩৪ বছর পর বসতভিটা ফিরে পেলেন-ভোলা

  প্রতিনিধি ২১ জানুয়ারি ২০২৩ , ১:০৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী প্রতিনিধি।।রাজশাহী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর বসতভিটা ফিরে পেলেন ভোলা মার্ডি নামে এক নৃগোষ্ঠীর সদস্য ও তার পরিবার।তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের বামলাহাল মৌজার ৯০১ দাগের ৩৪ শতক খাস জমি ১৯৮৯-৯০ সালে বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন।

ভোলা মার্ডির পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যু সারোয়ার জাহান ডাবলু স্থানীয় শাজাহানের সহযোগিতায় জায়গাটি জবর দখল করে রেখেছিলেন।এরপর তিন সপ্তাহ আগে হঠাৎ তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ভবন নির্মাণে কাজ শুরু করেন।

এতে তিনি কোনও উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৩) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দেন।এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সবুজ হাসান অভিযান পরিচালনা করে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনাটি অপসারণ করেন এবং ওই পরিবারকে জমিটি ফিরিয়ে দেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা মার্ডির লিখিত অভিযোগে জানতে পারি,গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের বামলাহাল মৌজার ৯০১ দাগের ৩৪ শতক খাসজমি ১৯৮৯-৯০ সালে বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন।তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যু সারোয়ার জাহান ডাবলু স্থানীয় শাজাহানের সহযোগিতায় জায়গাটি জবর দখল করে রেখেছিল।এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করি।

তিনি বলেন,এরপর শুক্রবার সকালে অভিযান পরিচালনা করে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে পরিবারটিকে জমিটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলকারীদের উচ্ছেদ করে ভোলা মার্ডিকে তার জায়গা বুঝিয়ে দেন।চৌত্রিশ বছর পর জায়গা পেয়ে খুবিই খুশি ভোলা মার্ডির পরিবার।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম বলেন,জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতায় ভোলা মার্ডিকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া ছাড়া ঘর তৈরিতে সহায়তা করা হবে।

ভুক্তভোগী বলেন,কিছুদিন আগে থেকে একই এলাকার এরফান আলীর ছেলে শাহজাহান রাতের আঁধারে মাটি ভরাট করে পাকাবাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে।তারা সেখানে বাড়ি নির্মাণ করছিল।আমি কাগজপত্র দেখালে হুমকি দেয়।

ওই জায়গায় শাহাজাহানের কোনও কাগজপত্র বা দলিলাদি নেই স্বীকার করে বলেন,আমি ওখানে নিজে বাড়ি নির্মাণ করতে যাইনি।গোদাগাড়ীর মঞ্জুর রহমানের ছেলে ডাবলুর নির্দেশে বাড়িঘর নির্মাণ করছি।

আরও খবর

Sponsered content