প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০২২ , ১০:৪৩:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।যেকোনো যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কী ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে,১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা তা নিজেরা দেখেছি।বর্তমানে চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা,বীভৎসতা আপনারা অনুভব করতে পারেন।আন্তর্জাতিক মহলেও সকলকে এই আহ্বান জানিয়েছি,যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) উখিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী ইনানীতে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের নৌবাহিনী ও উপকূলীয় সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতি হিসেবে আমরা সর্বদা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। সেই নীতি মেনেই আমরা সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিকট প্রতিবেশী এবং আঞ্চলিক সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রেখেছি।
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা নিয়ে সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান করেছি। একটি দেশ আরেকটি দেশের সঙ্গে এতটা শান্তিপূর্ণভাবে ভূমি বিনিময় করতে পারে, তার একটি বিরল দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমা আইন ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব করে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ করেছে তার অনেক পরে। আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রথম সই করি। আর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আমরা সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
সরকারপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে আমরা সমুদ্র গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করেছি। আমদের সরকার সমুদ্র-সম্পদের অপার সম্ভাবনা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের সামুদ্রিক খাতের উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে সমৃদ্ধ অর্থনীতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন আমরা সমুদ্রে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে আমরা সমুদ্র রক্ষায় পরিকল্পিত সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের নৌবাহিনীকে আধুনিকায়ন করছি।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক সামরিক ভাবমূর্তি ও সক্ষমতার নতুন বার্তা দিতে এবার বাংলাদেশ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যুদ্ধজাহাজ নিয়ে প্রথমবার এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে তারা।
এই অনুষ্ঠান শেষে দুপুর আড়াইটায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের মাঠে প্রবেশের মূল গেটে হাজারো নেতা-কর্মীর জটলা দেখা গেছে। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে পরিধান করেছেন নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।











