প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২৫ , ৮:৫৮:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার শ্রীপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে প্রকাশ্য দিব্যালোকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টায় কথিত বিচার-সালিশে অভিযুক্তদের অভিভাবক কর্তৃক ভিকটিমের মা’ও হেনস্থায় শিকার হয়েছে।

স্হানীয়রা জানিয়েছে,বুধবার(১৮জুন ২০২৫)বেলা পৌনে ১১টায় শ্রীপুর মহিষা ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছদ্মনাম নাদিলা(১২) কে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে চরফেনুয়া গ্রাামের কাজল সিকদারের ছেলে নয়ন সিকদারের নেতৃত্বে ৩জন মাদকসেবী লম্পটরা পথরোধ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এলাকাবাসী লম্পট নয়ন সিকদারকে হাতেনাতে ধরে আটকিয়ে শ্রীপুর পুলিশের ক্যাম্পের পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।চরফেনুয়ার আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য হাসেম মোল্লা,আঃ রহিম জোমাদ্দার সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন সিকদারের ছেলের মারজান সিকদার সহ কতিপয় সালিশগন চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেন।
এই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করছেন,বাহেরচর গ্রামের মেম্বার মোঃ নোমান মোল্লা।তিনি জানিয়েছে,হানিফ স্যারের পরিবার নদী সিকস্তি হয়ে বাড়িঘর হারিয়ে আমার চাচাতো ভাগ্নিয়া মোঃ মনিরুল ইসলাম হাওলাদার ওরফে মতির ঘরে থাকেন।আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী।ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মাষ্টারের নিকট প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে আমার বাড়ির পশ্চিমে মকবুল আকনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে লম্পটরা পথরোধ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে ইভটিজিং সহ ডজনখানেক স্কুল ছাত্রী অপহরণের পরে ধর্ষণের শিকার ৮/১০টি বাল্য বিবাহ হয়েছে। আমি প্রতিটা ঘটনা পুলিশকে অবহিত করছি।
ভিকটিমের সহপাঠী ও বান্ধবী সুবর্ণা খানম সাংবাদিকদের জানান,নয়নের নেতৃত্বে ৮/১০জন মাদকসেবী প্রতিদিন আমাদেরকে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি যৌন চরিতার্থ অসভ্যতামি করে। ওরা স্কুলেও গিয়ে ইভটিজিং করে বেড়ায়।
ভিকটিমের পরিবার নিরাপত্তাহীনততায় ভীতুসন্তুুষ্ট হয়ে পড়ছে। তবুও জানান,আমি মেয়ের মা হিসাবে খবর পেয়ে সালিশগনের সামনে গেলে অভিযুক্তদের অভিভাবকরা আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
কথিত বিচার-সালিশীর বিষয়ে উল্লেখিত সালিশগনের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য জানতে চাইলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ ফকরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছে,অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বরিশালের পুলিশ সুপার(এসপি) মোঃ শরীফ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ইভিটিভিং বন্ধ ও মাদকসেবীদের নির্মূল স্হানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধি’র সমন্বয়ে পুলিশ তালিকা করে কঠোর ব্যবস্থা নিবে।স্কুল-মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে যাহাতে কোনো লম্পট আড্ডা দিতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় রেঞ্জ’র ডিআইজি মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছে,অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।অপরাধমুলক কর্মকান্ড নির্মূলে পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে।যেকোনো অপারাধীকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে।

















