অপরাধ-আইন-আদালত

মেহেন্দিগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের বাধা দূর করতে সেনা সদস্য স্বামীকে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়াইয়ে হত্যার চেষ্টা!

  প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:৩২:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার শ্রীপুর ইউনিয়নের পরকীয়া প্রেমের বাধা দূর করতে সেনা সদস্য স্বামীকে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়াইয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে!

 

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, শ্রীপুর ইউনিয়নের চরফেনুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জোমাদ্দারের ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন (সেনা সদস্য) এর সহিত শ্রীপুর মহিষা ওহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীনের মেয়ে সায়মার প্রায় এক বছর আগে বিনা রেজিস্টারী(কাবিন ব্যতিত) বিয়ে হয়। সেনা সদস্যের স্ত্রী সায়মা আক্তার বরিশালের সাহেবেরহাটের  শহীদ জিয়া মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থী। সাহেবেরহাট ভাড়া বাসায় থেকে পড়ালেখা করে।নাম প্রকাশ করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, শ্রীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জু হাওলাদারের  মেঝছেলে রিয়াদ হাওলাদারের সঙ্গে সায়মার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।সেনা সদস্য জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সায়মার সহপাঠী স্কুল জীবনের প্রেমিক রিয়াদ।

 

গত শনিবার (২২এপ্রিল ২০২৩) ঈদের দিন ঘুরতে যাওয়ার অজুহাতে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হতে স্বামী সেনাসদস্য জয়নাল আবেদীনকে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়াইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানতে পেরে অজ্ঞান সেনা সদস্য জয়নাল আবেদীনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম)হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত সেনা সদস্য জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান,আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেবো,অনেক জ্বালাতন সহ্য করছি। আমার পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে ঘর-সংসার করলেও আমাকে স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। গতকাল ঘুরতে যেতে বারণ করায় আমাকে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়াইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।


অভিযুক্ত সায়মা পালিয়ে নানা বাড়ি গৌরনদীতে চলে যায়,তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে কথিত প্রেমিক রিয়াদ হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,সে জানান-আমার সাথে ভালো সম্পর্ক ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবে প্রেম-ভালোবাসা নয়। শুধু সহপাঠী হিসেবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সায়মার সঙ্গে আবীরের সম্পর্ক। একাধিকবার তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল।তা জেনেই জয়নাল মামা,সায়মাকে বিয়ে করে।

এব্যাপারে শ্রীপুর মহিষা ওহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ের বয়স ১৭বছর,জামাইর বয়স ১৯ বছর,উভয় অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষ,জ্ঞান বুদ্ধির অভাব আছে,তাই খুঁটিনাটি ঝামেলা হচ্ছে।এই তুচ্ছ ঘটনাকে বড়ো করে লাভ নেই।পারিবারিক সমস্যা আছে।তা সমাধান হবে।

এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমার কাছে এখনো অভিযোগ আসে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content