শিক্ষা

মূল বিষয় পছন্দের সাবজেক্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় না পেয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাওয়া

  প্রতিনিধি ১৩ জুন ২০২৩ , ৬:৩৯:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।এবার ভর্তি হওয়ার পালা।এসময় উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের খুবই পরিচিত একটি সমস্যা তৈরি হয়।আর সেটি হলো পছন্দের বিভাগে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই কিছু লেখা চোখে পড়ে,যার মূল বিষয় পছন্দের সাবজেক্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় না পেয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাওয়া। এরপর পড়ালেখা থেকে মন উঠে যাওয়া এবং বলতে গেলে ক্যারিয়ারের সমাপ্তি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের সফলতার পেছনে কোনো সাবজেক্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ই মূখ্য বিষয় নয়। সাবজেক্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ভালো বা খারাপ সেটি নির্ভর করে শিক্ষার্থীর উপর।এটা মূলত আমাদের এই উপমহাদেশের একটি সাধারণ সমস্যা।অথচ ইউরোপ-আমেরিকায় কোন সাবজেক্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট বা বড় করে দেখা হয় না।শিক্ষার্থীরা যার যার ইচ্ছে অনুযায়ী সে বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করে থাকেন।

“এখন কেউ বুয়েটে পড়েও একেবারে সাদামাটা জীবন পরিচালনা করছে আবার একেবারে নিচের সারির সাবজেক্ট পেয়েও কর্মক্ষেত্রে খুব ভালো করছে।কেউ মেডিকেলে পড়েও ভালো ডাক্তার হতে না পেরে ঔষধের দোকানে বসছে আবার কেউ নার্সিংয়ে পড়েও খুব ভালো জব করছে।কোন সাবজেক্টই ভালো বা খারাপ না বরং সেটা নির্ভর করে শিক্ষার্থীর উপর-ড. মো. কামরুল হাসান মামুন

এবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্-বিইউপিতে পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছেন কৌশিক রহমান (ছদ্মনাম) এক শিক্ষার্থী।পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চান্স পেয়েছেন তিনি।তিনি এখন ভুগছেন পছন্দের সাবজেক্ট নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন।এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিজ্ঞদের মতামত-পরামর্শও চেয়েছেন তিনি।

কৌশিক লিখেছেন, “বিইউপির সাবজেক্ট ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস কিংবা ভাষাবিজ্ঞান এসব সাবজেক্টে পড়া কি অনেক বড় বোকামি? সমস্যাগুলো কোথায়? বিস্তারিত জানাবেন।” শুধু কৌশিক হয়,হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে এসে এমন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেন প্রতিবছরই ।

জানা যায়,প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেও প্রথম সারির স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়াতে পছন্দের সাবজেক্ট পাওয়া যায় না।তাই অনেক শিক্ষার্থী পেছনের দিকের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্ট পেয়েও যেমন হতাশায় ভোগেন,তেমনি পছন্দের সাবজেক্ট না পাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অনেকে অন্য পাবলিক কিংবা প্রাইভেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি নেন।কেউ পছন্দের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বিষয় বাছাই নিয়ে পড়ে যান দ্বিধায়।আবার অনেকে একসঙ্গে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে কোনটি রেখে কোনটিতে ভর্তি হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন।

“বিইউপির সাবজেক্ট ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস কিংবা ভাষাবিজ্ঞান এসব সাবজেক্টে পড়া কি অনেক বড় বোকামি? সমস্যাগুলো কোথায়? বিস্তারিত জানাবেন।”

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি নাকি সাবজেক্ট— সেই হিসেব করলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মত প্রদান করবেন এটাই স্বাভাবিক।কেউ কেউ বলবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেলে অন্য কোথাও চিন্তা না করে ভর্তি হয়ে যেতে যেকোন বিষয়ে। কারণ দেশের অসংখ্য সাবজেক্টেরই আলাদা জব সেক্টর নেই। সেহেতু বিসিএস কিংবা অন্য জনের ক্ষেত্রে ঢাকায় থাকলে যেই সুবিধা একজন শিক্ষার্থী ভোগ করতে পারে সেটা অন্য কোথাও সম্ভব নয়।আবার অনেকে সাবজেক্টকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।বিশেষত বিজ্ঞান অনুষদের সাবজেক্টগুলোকে আলাদা প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে আর ঢাকায় ফিরতে নিষেধ করেন তারা।আবার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ক্ষেত্রে ঢাবিতে তুলনামূলক পেছনের সাবজেক্ট নেয়ার চেয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরের সারির সাবজেক্ট পেলে সেখানেই ভর্তি হবার জন্য তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান রুহানি বলেন,সুন্দর একটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে সাবজেক্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় দু’টিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সাবজেক্ট পছন্দের ক্ষেত্রে নিজের প্যাশন এবং ইন্টারেস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কেননা যে বিষয়টি একজন শিক্ষার্থী পড়তে যাচ্ছে সে বিষয়টি যদি তাকে প্রকৃতপক্ষে উদ্দীপ্ত না করে তাহলে ঐ বিষয়টির ওপর মোটিভেটেড থাকা একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

শুধু পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বা পছন্দের সাবজেক্টে পড়েই কেউ সফল হয় না বরং নিজের দক্ষতা,যোগ্যতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করে তিনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দের ক্ষেত্রে রেপুটেশন,এক্রিডিটেশন,ফ্যাকাল্টি,রিসোর্সেস, কানেক্টিভিটি বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তবে বর্তমান একবিংশ শতাব্দীর গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে নিজ দক্ষতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হতে হলে নিজের দক্ষতা,সৃজনশীলতা,এনালাইটিক্যাল ক্যাপাবিলিটি বাড়ানো জরুরি।পরিশেষে,নিজের আগ্রহ,স্ট্রেংথ , আত্মবিশ্বাস,নেটওয়ার্কিং স্কিলই একটি সুন্দর ক্যারিয়ারের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

“তবে ঢাবিতে কেউ যদি পেছনের সারির বিষয় পেয়ে থাকে কিন্তু রাবি,জাবি,চবিতে খুব ভালো সাবজেক্ট পায় তাহলে তার ঢাবিতে না আসাটাই সবচেয়ে ভালো হবে।এক্ষেত্রে যে বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন- যে সাবজেক্টে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে যাচ্ছে তার ভবিষ্যৎ চাহিদা বা সম্ভাবনা কেমন।কেননা জব মার্কেটে সাবজেক্ট ভ্যালু রয়েছে।প্রত্যেক সাবজেক্টের আলাদা আলাদা চাহিদা রয়েছে।যদিও আমাদের বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় অনেক সাবজেক্টেরই নির্দিষ্ট ফিল্ড কম।”

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে ঢাবিই প্রথম পছন্দ হবে কিনা, এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সবুজ বলেন,বাংলাদেশের হিসেবে দেখা যায় রুয়েট,চুয়েট, কুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট পেলে ঢাবিতে না পড়াই ভালো। ঢাবির খুব কম বিভাগের আলাদা জব ফিল্ড রয়েছে।তাছাড়া কেউ যদি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্ট পায় তাহলে ঢাবির নিচের সারির সাবজেক্টে না পড়াই ভালো।কারণ কৃষি সাবজেক্টগুলোর বিসিএস ফিল্ড অনেক ভালো।তবে কারো যদি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না হয় বা পজিশন পেছনে থাকে যেখান থেকে ভালো সাবজেক্ট পাবে না সেহেতু ঢাবিতে থেকে যাওয়া ভালো হবে।তবে যদি কারও ঢাবির প্রতি আলাদা প্যাশন কাজ করে,খুব ভালোলাগা কাজ করে তাহলে সে অন্য কোথাও ভালো সাবজেক্ট পেলেও তার এই ভালো লাগাকে অবশ্যই গুরুত্ব দেয়া উচিত।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সারির বিষয় পেয়ে ঢাবিতে তুলনামূলক দূর্বল বিষয়ে ভর্তির উচিত হবে না মন্তব্য করে লোক প্রশাসন বিভাগের হেলালুর রহমান বলেন,কেউ যদি রাবি,জাবি,চবি এবং জবির টপ সাবজেক্ট পায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যম মানের অথবা ভাষাভিত্তিক সাবজেক্ট পায় তাহলে অবশ্যই সাবজেক্টকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে নির্দিষ্ট একটা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চাকরি পাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে।

“এছাড়াও এমন অনেককেই দেখা যায়,যারা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টপ সাবজেক্ট ছেড়ে শুধুমাত্র ঢাবিতে পড়ার জন্য ভাষাভিত্তিক সাবজেক্টগুলোতে এসে ভর্তি হয় এবং শেষ পর্যন্ত এখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে খেই হারিয়ে ফেলে।যার ফলে হতাশা ও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় তারা।একই কথা বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।বুয়েট, কুয়েট,রুয়েট এবং চুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপেক্ষাকৃত নিচের সারির সাবজেক্টগুলোতে পড়তে আসা কখনোই বুদ্ধিদীপ্ত ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত হবে না।”

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সাবজেক্টও ক্ষেত্র বিশেষে গুরুত্বপূর্ণ।স্থান কাল পাত্র ভেদে দুটোই জীবনে প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে।কারও যোগ্যতা যদি থাকে,দক্ষতা অর্জনে যদি একনিষ্ঠ হওয়া যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সাবজেক্ট জীবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পরবর্তী সময়ে খেয়াল করলে দেখা যায়,অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। পড়াশোনার ব্যাপারে একটা গা-ছাড়া ভাব তৈরি হয়।এমন অবস্থা হলে শুধু ঢাবি না পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ও ভালো সাবজেক্ট পেলেও সেটা কোন কাজে আসবে না।

“উচ্চ মাধ্যমিকের পর দেশে ও দেশের বাহিরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সঠিক গাইডলাইন পায় না।অনেক সময় আমরা আশেপাশের লোকদের কথা শুনে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই-আয়মান সাদিক

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মামুন বলেন,এটা নির্ভর করবে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত পছন্দ,আগ্রহ,ভালোলাগা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ,খাবার,শিক্ষার মান,শিক্ষকের যোগ্যতা ইত্যাদির উপরে।এখন কেউ বুয়েটে পড়েও একেবারে সাদামাটা জীবন পরিচালনা করছে আবার একেবারে নিচের সারির সাবজেক্ট পেয়েও কর্মক্ষেত্রে খুব ভালো করছে।কেউ মেডিকেলে পড়েও ভালো ডাক্তার হতে না পেরে ঔষধের দোকানে বসছে আবার কেউ নার্সিংয়ে পড়েও খুব ভালো জব করছে।কোন সাবজেক্টই ভালো বা খারাপ না বরং সেটা নির্ভর করে শিক্ষার্থীর উপর।এটা মূলত আমাদের উপমহাদেশের একটা কমন সমস্যা।আমরা বিষয়গুলোর মাঝে তফাৎ তৈরি করেছি। অথচ ইউরোপে কোন বিষয়কে ছোট বা বড় করে দেখা হয় না। শিক্ষার্থীরা যার যার ইচ্ছে অনুযায়ী সে বিষয় পছন্দ করে থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ বশির মিয়া খাদেম বলেন,আসলে এ বিষয়ে মন্তব্য করাটা যুক্তিসঙ্গত নয়।এটা নির্ভর করবে একজন শিক্ষার্থীর চাহিদা ও তার কন্ডিশনের উপরে।কেউ হয়তো ভাববে তার বিশ্ববিদ্যালয় হলেই চলবে,কেউ ভাববে তার ভালো সাবজেক্ট প্রয়োজন, কেউ ভাবে তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই লাগবে সেটা যে-ই সাবজেক্টই হোক না কেন, আবর কেউ ভাবে সে তার এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, আবার কেউ ঢাকার ভেতরে থাকতে চায় চাকরির বিষয় চিন্তা করে। ফলে নির্ধারিত একটি বিষয়ে বলাটা এক্ষেত্রে সমীচীন নয়।

“তবে যদি কেউ চট্টগ্রাম, রাজশাহী বা অন্য কোথায় একেবারে টপ লেভেলের সাবজেক্ট পায় বিশেষত আইন বা অর্থনীতি পায়,আবার ঢাবিতে খুব দূর্বল সাবজেক্ট সেক্ষেত্র সে চাইলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যেতে পারে।আবার চাইলে দেশের কেন্দ্রে থেকে যেতে পারে সেটা একান্তই সেই শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত ইচ্ছা।”

টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আয়মান সাদিক বলেন,উচ্চ মাধ্যমিকের পর দেশে ও দেশের বাহিরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সঠিক গাইডলাইন পায় না।অনেক সময় আমরা আশেপাশের লোকদের কথা শুনে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই।অনেক সময় চিন্তা করিনা যে শিক্ষার্থীরা আসলে কি চায়।এসব বিষয় মাথায় রেখে তাদের সঠিক গাইডলাইন দেয়া দরকার।এজন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সভা-সেমিনার করা যেতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content