সারাদেশ

মিঠাপুকুরে নিয়ম ভঙ্গ করে গভীর নলকুপের পানির পাইপ লাইন নির্মাণে বাধা দেওয়ায় মা-ছেলেকে মারপিট

  প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:০৪:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুর প্রতিনিধি।।রংপুরের মিঠাপুকুরে নিয়ম ভঙ্গ করে গভীর নলকুপের পানি সরবরাহের পাইপ লাইন নির্মাণে বাধা দেয়ায় মা ও ছেলেকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী ইছমোতারা বেগম নামে এক নারী।

অভিযোগ সূত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ছোট বান্দেরপাড়া গ্রামের মৃত. গোলাম মোস্তফার নামে স্থানীয় ফসলের মাঠে বিআরডিবির আওতায় একটি গভীর নলকুপ রয়েছে।তিনি মৃত্যুবরণ করলে তাঁর স্ত্রী ইছমোতারা বেগম ও ছেলে আবু রায়হান মিয়া গভীর নলকুপটি পরিচালনা করে আসছেন।পাশের এজরাপাড়ার রাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় অন্য একটি গভীর নলকুপ পরিচালনা করেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে এজরাপাড়ার মৃত্যু ইয়াকুবের সন্ত্রাসী পুত্র রাশেদুল ইসলাম তার ভাই মবিনুর ইসলাম,ভাতিজা সোহরাব হোসেন ও মোতাল্লেব হোসেন গংরা তার লোকজন সহ লাঠি-সোডা নিয়ে ছোট বান্দেরপাড়া গ্রামের ইছমোতারা বেগমের গভীর নলকুপের ৫শ ফুটের মধ্যে পানির পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য ক্যানেল খুড়তে থাকেন।এ সময় ইছমোতারা বেগম ও আবু রায়হান বাধা দেন। এতে তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। গালমন্দ করতে নিষেধ করায় প্রতিপক্ষ রাশেদুলের নির্দেশে বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের  ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রায়হান হাবীবের সামনেই তার লোকজন ইছমোতারা বেগম ও তার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন।রাশেদুল নিজেও লাঠি দিয়ে মা ও ছেলেকে মারপিট করে।

 

এতে মা ও ছেলে গুরুতর আহত হন। আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ইছমোতারা বেগম থানায় একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে।

 

তিনিবলেন, ‘একটি গভীর নলকুপ থেকে আরেকটির দুরত্ব কমপক্ষে ২২’শ ফুট।কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে অন্যায়ভাবে তারা আমার গভীর নলকুপের কাছে পাইপ লাইন নির্মাণ করে।এতে বাধা দেওয়ায় তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে উক্ত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের ইনঞ্জিয়ার রায়হান হাবীবের সামনেই বেধড়ক মারপিট করেন।এসময় তিনি ও কোনোরূপ বাধা প্রদাণ না করেই দাঙ্গাবাজদের কথাতেই সম্মতি প্রদাণ করেন।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার চাই।

বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের ইনঞ্জিয়ার মোঃ রায়হান হাবীব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,অন্যপাশে পাইপ লাইনগুলো খারাপ হওয়ায় আমরা উক্ত বিআরডিবি গভীর ডিপ টিউবওয়েলের জোনের মধ্য উক্ত পক্ষকে অনুরোধ পূর্বক পাইপ লাইনটি নির্মাণ করতেছিলাম। আসামী রাশেদুল গংদের যে ট্রেস ম্যাপ করে দেওয়া ছিলো ওরা সেটার সীমা লঙ্ঘন করেছে।আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে পড়েছি।আমার সামনেই ওরা বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ মা ও ছেলেকে নির্মম ভাবে পিটিয়েছে।রাশেদুল গংরা এটা মোটেও ভালো কাজ করেনী।আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে,কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।আপোষ না হওয়া পর্যন্ত ওখানকার কাজ বন্ধ থাকবে।

 

গোপালপুর ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মাসুদ আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন,বিবাদীদের জোরপূর্বক পাইপ লাইন স্থাপন ও বাদীগণের উপর হামলা জখমের ঘটনায় পুরোপুরিভাবে সত্যতা পেয়েছি।এটা অভিযোগ আকারে ছিলো এখন এজাহার হয়ে মামলা রেকর্ড হবে।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content