জাতীয়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ‘রেজিম চেঞ্জ’র কৌশলের অংশ

  প্রতিনিধি ১৪ জুন ২০২৩ , ৫:৫০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানতি ‘রেজিম চেঞ্জ’র কৌশলের অংশ। তারা সেন্টমার্টিন চায়,কোয়াডে (কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) বাংলাদেশকে চায়। তিনি আরও বলেন,বর্তমান সরকারকে হটানোর জন্য তারা সবকিছু করছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এ দাবি করেন। জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন,হঠাৎ করেই আমরা দেখলাম যে, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য আইনমন্ত্রী মাঝে-মাঝেই সরকারের উদ্যোগের কথা বলেন।সেই জামায়াতকে পুলিশ বেশ সমাদর করে,অন্যের সভা সরিয়ে নিতে বাধ্য করে, ১০ বছর পর প্রকাশ্যে সভার অনুমতি দিয়েছে।এটা কিসের আলামত আমরা জানি না।

রাশেদ খান মেনন বলেন,এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল, ঘাতকের দল।যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে একথা বলেছেন।এর জন্য নতুন করে আদালতের রায়ের প্রয়োজন নেই।জামায়াত কিন্তু তার অবস্থান থেকে একচুলও সরেনি।ওই সমাবেশ করে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবিরই পুনরাবৃত্তি করেছে।বিএনপি-জামায়াত একই বৃন্তের দুটি ফুল। সাপের মুখে চুমু খেলে সাপ ছোবলই মারেআদর করে না। জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে তোষামোদ-সমঝোতা সেই ফলই দেবে।

তিনি বলেন, জামায়াত-হেফাজত যেমন কারও বন্ধু হলে তার আর শত্র“র প্রয়োজন হয় না।তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু,তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই।এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার বাগে রাখতে স্যাংশন দিয়েছে। এখন নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। এটা শুধু দুরভিসন্ধিমূলকই নয়,তাদের ‘রেজিম চেঞ্জ’র কৌশলের অংশ। তারা সেন্টমার্টিন চায়,কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে তারা বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল।তীব্র খাদ্য সংকটের সময় বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করতে মধ্য সমুদ্র থেকে গমের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে তাদের কালো হাত ছিল। এখন আবার বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সবকিছু করছে।

মার্কিন ইস্যুতে সরকারের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন,প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন করে আমি বলতে চাই,বাইডেন সাহেব ট্রাম্পকে সামলান। আমাদের ঘর আমরা সামলাব। নির্বাচন হবে।শেখ হাসিনার সরকারকে রেখেই হবে।বিএনপির উচিত হবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তারেক রহমান নির্বাচন না করে ২০২৯ সালের জন্য অপেক্ষা করতে পারে।কিন্তু বিএনপি এরই মধ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।তার সেই স্বপ্নও পূরণ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে,এগিয়ে যাবে।

আরও খবর

Sponsered content