অপরাধ-আইন-আদালত

মানুষের সেবা করতে স্বেচ্ছায় নিজেকে সরিয়ে নিলাম-মানবিক পুলিশ শওকত

  প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৫৪:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।মানুষের সেবা করতে হলে আমি হয়তো ডিউটি করতে পারব না।আর ডিউটি করতে গেলে হয়তো মানুষের সেবা করতে পারব না।আমি মানুষের সেবা করতে চাই,তাই মানুষের সেবাটাকেই বেছে নিলাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ থেকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে এমনটাই বললেন,মানবিক পুলিশ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শওকত।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল শওকত হোসেনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।গত ১৬ এপ্রিল তার চাকরিচ্যুতির আদেশে স্বাক্ষর করেন সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা।আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের দপ্তরে।

ওই আদেশে বলা হয়েছে,৭১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।এ ছাড়া অভিযুক্ত (শওকত হোসেন) শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় এবং বেওয়ারিশ মানুষ নিয়া মানবিক কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করা তার পক্ষে সম্ভব নয় এমন বক্তব্য লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।’

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও কথা বলেছেন শওকত হোসেন। তিনি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বলেন,কখনো ভালো কিছুর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়৷তাই স্বেচ্ছায় নিজেকে সরিয়ে নিলাম।ইনশাআল্লাহ মানবতার কল্যাণে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত থাকব।’

কনস্টেবল শওকত হোসেনের চাকরিচ্যুতির আদেশের মধ্য দিয়ে মূলত সিএমপির মানবিক পুলিশ ইউনিট বন্ধ হয়ে গেল। ২০১৯ সালে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের আদেশে মানবিক পুলিশ ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন কমিশনার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন।

বেওয়ারিশ মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে ইতিবাচক কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় তখন গণমাধ্যমে পুলিশের এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।

সিএমপির এমন উদ্যোগের পর কিছু পুলিশ সদস্য মানবিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দেন।অনেকেই নিজদের নামের আগে ‘মানবিক’ শব্দটি ব্যবহার শুরু করেন।এখন যে মানবিক পুলিশিংয়ের প্রচারণা চালানো হয়,সেটার ভিত্তি পেয়েছিল সিএমপির উদ্যোগের কারণে।

শওকত ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ডবলমুরিং থানা এলাকায় একটি মাহফিলে অতিথি হয়ে যান এবং ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেন।সেই বক্তব্যের জেরে পরবর্তী সময়ে তাকে দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে বদলি করে কর্ণফুলী থানায় পাঠানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content