জাতীয়

মানুষের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ আমরা চলতে দেব না-স্বাস্হ্যমন্ত্রী, জাহিদ মালেক

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৬:৩৫:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

নিজস্ব প্রতিবেদক।।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,সরকার সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ইন্ড্রাস্টিকে উৎসাহ প্রদান করে।তবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ আমরা চলতে দেব না।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্য কারো কাজের দায় নেবে না।

আজ রবিবার এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সব ধরনের শিল্পকে উৎসাহ দিতে চাই।কারো ক্ষতি হোক তা আমরা চাই না।আমরা চাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি যেন বড় হয়,তাহলে একদিকে যেমন অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে তেমনি সরকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারবে।কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হতেই পারে,তার সমাধানও আছে।আমাদের এতে উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।আবোল তাবোল কথা বলারও প্রয়োজন নাই।আমাদের উচিৎ সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওষুধ খারাপ হলে রোগী অসুস্থ হবে। ডাক্তার ভালো,মেশিন ভালো কিন্তু ওষুধ যেটা খাওয়ালেন সেটা খারাপ,নকল,মেয়াদ উত্তীর্ণ,নিন্মমানের তাহলে রোগ সারবে না।এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হতে থাকবে।এসব দেখার দায়িত্ব তো আমাদের।এজন্য প্রায় ২০টি শিল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এমনকি অনেক মেডিক্যাল কলেজও আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।দেশের লোকের ক্ষতি হয় সেগুলো কখনও এলাউ করব না।’

‘কসমেটিকস মানুষের মুখে,শরীরে লাগানোসহ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়’উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কসমেটিকসে ক্ষতিকর কোনো উপাদান থাকলে,সেগুলো ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি হয়।এসব ক্ষতিকর কসমেটিকস কেউ যদি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করে,তাহলে স্ক্রিন ক্যান্সারও হতে পারে।দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করলে কিডনি,লিভার আক্রান্ত হয়।এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।কোথাও কেউ মারা গেলে তার দায় দায়িত্ব চলে আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপরে। সুতরাং আমরা হালকাভাবে কোনো কিছু নিতে পারব না।’

সবার সাথে আলোচনা করা হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন,আমরা চাই আপনাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়। সামনে যে সংসদীয় বোর্ডের মিটিং হবে।কমিটির সভাপতিকে বলব পরবর্তী বৈঠকে যেন আপনাদের কসমেটিক সেক্টরের প্রতিনিধি রাখা হয়।’

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. নুরনবী।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ওষুধ কম্পানি এবং কসমেটিকস কম্পানির প্রতিনিধিরা প্রস্তাবিত, ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ একত্রিত না পৃথকভাবে প্রণয়ন করার দাবি জানান।পাশাপাশি কোনো আইন করার আগে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলেন।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব),বিডা,লোকমান হোসেন মিয়া। এ ছাড়া প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএসটিআই সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন সরকার, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ডিএমডি ও সিইও মো. হালিমুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম. এ মুবিন খান,মিল্লাত কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহফুজ জামান,ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার প্রমুখ।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares