জাতীয়

মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবিসহ ২৫ দফা দাবি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:২৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি না পাওয়ায় স্থায়ী পে-কমিশন গঠন এবং নতুন পে-কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবিসহ ২৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ৷

সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব তোয়াহা সাক্ষরিত এক আবেদনপত্রে এ দাবি জানানো হয়৷

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়নের পর তেল,গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মচারীরা আজ দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেলেও গত সাত বছর ধরে পে-স্কেল না দেওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পায়নি৷আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বাজেটে জাতীয় পে-স্কেলের পূর্বের ন্যায় কমিটি গঠন করে নতুন স্কেল কার্যক্রম চালু করাসহ ২৫ দফা দাবি পেশ করা হলো৷

তাদের ২৫ দফা দাবিসমূহ-

১, স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করতে হবে এবং পে-কমিশনে কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধি রাখতে হবে।

২, নতুন পে-কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।

৩. বেতন স্কেল ২০ ধাপ ভেঙে ১২ ধাপ বিশিষ্ট বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে।

8. সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পদে ১৪৫ হারে বেতন স্কেল নির্ধারণ করে বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে।

৫. পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রদানসহ ০১ টাকার বিনিময়ে ৫০০ টাকা গ্রাইচ্যুটি নির্ধারণ পূর্বক পেনশন প্রদান করতে হবে।

৬. পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে।

৭. পে-কমিশনে বাড়িভাড়া ৮০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ৫০০০ টাকা, শিক্ষাভাতা ৩০০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ২০০০ টাকা, টিফিনভাতা ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৮. বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ এর স্থলে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।

৯. বৈশাখী ভাতা ১০০ শতাংশ করতে হবে এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ভাতা ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ভাতা প্রদান করতে হবে।

১০. সরকারি দপ্তরে আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং ও প্রকল্পে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

১১. সরকারি চাকরিতে সরাসরি প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর এর স্থলে ৩৫ বছর এবং বিভাগীয় প্রার্থীদের সরকারী চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিল যোগ্য করতে হবে। অবসরের বয়স সীমা ৫৯ এর স্থলে ৬৫ বছর করতে হবে।

১২. জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর শ্রেণি বিন্যাস বিলুপ্ত করে গ্রেড প্রথা চালু করা হয়েছে। যে কর্মচারী যে গ্রেডে বেতন ভাতা প্রাপ্য হন তাকে সেই গ্রেডের পদমর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার করে সকল পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।

১৪. সুইপার, গার্ড, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ফরাসদের গাড়ি চালকদের ন্যায় ওভার টাইম প্রদান করতে হবে।

১৫. গাড়ি চালক, ডি আর, লিফটম্যান, ইলেক্ট্রিশিয়ানদের ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে।

১৬. সচিবালয়ের কর্মচারীদের ১০ শতাংশ সচিবালয় ভাতা প্রদান করতে হবে।

১৭. কর্মচারীদের সন্তানদের চাকরির লক্ষ্যে পোষ্য কোটা ৩০ শতাংশ এবং সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তির জন্য ২০ শতাংশ কোটা নিশ্চিত করতে হবে।

১৮. কর্মকর্তাদের ন্যায় কর্মচারীদেরকে যোগ্যতা অনুসারে বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

১৯. কল্যাণ তহবিলে মাসিক ভাতা ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকার পরিবর্তে ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা করতে হবে।

২০. পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সিভিল কর্মচারী/প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/প্রতিরক্ষা অডিটরদের ন্যায় সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।

২১. সচিবালয়ে সহকারী সচিব পদে পদন্নতিতে ফিডার পদের বৈষম্য দূর করে একই ফিডার পদ নির্ধারণ করতে হবে।

২২. সচিবালয়ের কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরদের পদবী পরিবর্তন পূর্বক সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করতে হবে এবং ক্যাশ সরকারের পদ পরিবর্তন করে ক্যাশ অফিসারে নামকরণ করতে হবে।

২৩. নিম্ন আয়ের কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ও মোটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য সুদ মুক্ত ঋণ প্রদান করতে হবে।

২৪. প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের রাষ্ট্রীয় সফরে অন্যান্য পেশার ন্যায় কর্মচারী প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।

২৫. সচিবালয় কর্মচারী সমিতির নামে জায়গা বরাদ্দ পূর্বক কর্মচারী ভবন নির্মাণ করতে হবে।।

আরও খবর

Sponsered content