মজিববর্ষের ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা লীগের হাসানকে গনধোলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক।।মেহেন্দিগঞ্জের মজিববর্ষের ঘরে জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা হাসান মাহমুদ জোমাদ্দারকে হাতেনাতে আটকিয়ে গনধোলাই দিয়েছে স্হানীয়রা।তবে মোঃ হাসান জোমাদ্দার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল ও রহস্যময়!

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ২০২৪) রাত সাড়ে দশটায় শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের কাঠেরপোল মজিববর্ষের ঘরে এঘটনাটি ঘটেছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে,বরিশাল-৪(মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা,কাজিরহাট) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মেজবাউদ্দিন ফরহাদের চাচাতো ভাই শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসান জোমাদ্দার।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও ভোলা সদর থানায় ৯/১৬ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এমপি পংকজ নাথের অনুসারী শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লার হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।এরপর হাসানের নিজস্ব ভেরিফাই ফেসবুকে সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি দাবি করে ভূয়া কমিটি গঠনের ছবি ভাইরাল করছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পংকজ নাথের অনুসারীদের সাথে যুক্ত হয়ে পংকজ নাথের অনুসারী দাবি করে সমাজের নিকৃষ্টতম অপরাধ কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়।চুরি,ডাকাতি,মারামারি,ভূমিদস্যুতা,মাদক বিক্রয় ও সেবন সহ প্রভৃতি অপরাধ কর্মকাণ্ড করে আসছে।

বাহেরচর গ্রামের কাঠেরপোল মসজিদের পূর্ব দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলোনীর মজিববর্ষের ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে জোরপূর্বক এক গৃহবধূকে হাসান ধর্ষণ করছে। ভিকটিমের আত্মচিৎকার শুনে স্হানীয়রা হাতেনাতে আটক করেন।শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ ও শ্রীপুর পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশকে খবর দিলে কৌশল অবলম্বন করে পালানোর সময় স্হানীয়রা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেন।এঘটনায় এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ বাচ্ছু সাংবাদিকদের জানান,আমি ডাক-চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি হাসান আনোয়ার হুজুরের ঘরের সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।আমি বলি হাসান ভাই কি হয়েছে?দাড়ান—-দাড়ান।যা আনোয়ার হুজুরের ঘরের সামনে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্র আছে।

মোঃ সুমন মাতুব্বর সাংবাদিকদের জানান,আমরা আটকিয়ে রেখে শ্রীপুর পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ ও শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লাকে অবগত করার আড়াই ঘণ্টা পরেও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারেননি!

অপর এক স্বাক্ষী মোঃ হাসেম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমার শ্যালক বাচ্চু হাসান জোমাদ্দারকে ঝাপটে ধরে রাখতে না পারলেও গেঞ্জি ও শার্ট রেখেছে।

মাওঃ মোঃ আনোয়ার হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন,সিসি টিভি ফুটেজ পুলিশ ও সাংবাদিকদের দেয়া হয়েছে।অভিযুক্ত হাসানের বিরুদ্ধে শতাধিক নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।কেউই তার বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ দিতে পারে না।খুন-জখম করে।অস্ত্রসহ গ্রেফতার হলেও জামিন পেয়েছেন। বাঘের ভয়ে বাঘ ছেড়ে দিলে ছাগল ও গরু খেয়ে ফেলে। অপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত,তানাহলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।

শ্রীপুর ইউপি সদস্য মেম্বার শাজাহান মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনাটি সম্পূর্ণই সত্যি।আমার বাড়ির সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।স্বাক্ষীদের খুন-জখমের হুমকি প্রদর্শন করে।

ভিকটিমের স্বামী মোঃ ইদ্রিস বয়াতি সাংবাদিকদের বলেন, আমার শ্যালক হাসান জোমাদ্দারের গ্রুপের সদস্য।পূর্ব থেকেই হাসান জোমাদ্দারের সঙ্গে সম্পর্ক।এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো।দয়া পূর্বক আমার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ও প্রশাসনকে থামিয়ে দিন।

পুলিশের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে জানিয়েছেন,ভিকটিম একজন পেশাদার দেহব্যবসায়ী।তার স্বামী ইদ্রিস বয়াতি জাহাজে চাকরি করে।তাই স্বামীর অনুপস্থিতিতে এলাকার দুস্কৃতিকারী মাদকাসক্তদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্র কয়েকজন মাদকাসক্ত মাদক সেবনকারীদের।

এব্যাপারে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনাটি শুনেছি,চৌকিদার পাঠিয়ে ভিকটিমকে থানা গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা অনুরোধ করছি।

এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইয়াসিনুল হক সাংবাদিকদের জানান,অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে অবগত করা হয়েছে।তারা জানান সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গোয়েন্দা সংস্থা অভিযুক্ত হাসানকে গ্রেফতার করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্হান নিশ্চিত করেছেন।দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

বিস্তারিত স্হানীয় ও জাতীয় পত্রিকা সহ অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হবে