প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৪:২২:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ডলারের দাম বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।একইসঙ্গে যোগ হয়েছে দাতা সংস্থার ঋণ ও অনুদান।ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার আছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে।এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো,এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে।মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে,তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ।এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার,ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসেবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার আছে।প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
চলতি ডিসেম্বরের মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধ পথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে,দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে।তবে গত সপ্তাহে ডলারের চাহিদা বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়ে যায়।যার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।











