সারাদেশ

বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়ার পরও আসেনি তার ছেলে-মেয়ে কিংবা কোন স্বজন!

  প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২২ , ১:১৮:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুর প্রতিনিধি।।বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া জেলার গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে এসএম মনছুরের (৭৫) শেষ বিদায় বেলাও আসেনি তার ছেলে-মেয়ে কিংবা কোন স্বজন।

সোমবার দুপুরে মরহুমের জানাজা শেষে স্থানীয়রা পারিবারিক কবরস্তানে তাকে দাফন করেছেন।

এর আগে রবিবার বিকেলে অসুস্থ্য হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে মারা যান মনছুর। পরবর্তীতে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের কাজী আশিকুর রহমান রতন, কাজী বাবুলসহ একাধিক গ্রামবাসী বলেন, বৃদ্ধ এসএম মনছুর টিএন্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র এ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) ছিলেন।

গত ছয়মাস পূর্বে রংপুরের হারাগাছ থানার বকসা বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হয় বৃদ্ধ মনছুরের। তারা আরও জানান, ওই বৃদ্ধের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে বড় ছেলে মহিন সরদার ঢাকায় চাকরী করেন, ছোট ছেলে রাজু সরদার কাতার প্রবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মৃত মনছুরের এক ঘনিষ্ট আত্মীয় বলেন, ঢাকায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য এসএম মনছুরের দুই ছেলে ও বোন সেলিনা বেগম গত ১০ বছর পূর্বে তাকে (মনছুর) মৃত দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়।

এরপর সে (মনছুর) আর ওই বাসায় ফিরতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে মৃত মনছুরের ছেলে মহিন সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রংপুরের হারাগাছ থানার বকসা বৃদ্ধাশ্রমের সদস্য সচিব নাহিদ নুসরাত বলেন, চলতি বছরের ২১ জুন রাত সাড়ে এগারোটার দিকে অসুস্থ্য অবস্থায় বৃদ্ধ মনছুর আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে আসেন। এরপর থেকে তিনি আমাদের বৃদ্ধাশ্রমেই ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content