শিক্ষা

বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে বোর্ডের খাতা মূল্যায়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:৩৪:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষার্থীদের দিয়ে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের খাতা দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।বোর্ডের খাতা নিয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রত্মপুর ইউনিয়নের মোহনকাঠি আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের কারিগরি বিএম শাখায়।গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সাংবাদিকদের নজরে আসে।

জানা গেছে,চলতি এইচএসসি পরীক্ষার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিএম শাখার খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব পান ও কলেজের বিএম শাখার প্রভাষক গোপাল মন্ডল।তিনি নিজে বোর্ডের খাতা না দেখে তার কলেজের বিএম শাখার শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেই খাতা মূল্যায়নের জন্য তাদের দায়িত্ব দেন।আর শিক্ষার্থীরা তখন ওই খাতা পেয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা জানায়,আমাদের কলেজের বিএম শাখার প্রভাষক গোপাল মন্ডল স্যার বোর্ডের খাতা মূল্যায়নের জন্য আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন।আমরা স্যারকে সহযোগিতা করতে কয়েকটি শীট পূরণ করেছি।

আরও জানা গেছে,শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন এক হাতে মোবাইলে সেলফি তুলছেন এবং অন্য শিক্ষার্থীরা বোর্ডের খাতা মূল্যায়নের জন্য খাতা নিয়ে বসে আছেন।ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে জানান,বোর্ডের খাতা শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন চরম ভুল করেছেন প্রভাষক গোপাল মন্ডল।তার এই সামান্য ভুলের কারনে একজন পরীক্ষার্থীর ফলাফল আটকে যেতে পারে।

অভিযুক্ত শিক্ষক গোপাল মন্ডল জানান,বোর্ডের খাতা মূল্যায়নের জন্য কয়েকটি শীট পূরণ করতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার জন্য বলেছিলাম।এটা আমার ভুল হয়েছে।খবর পেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র অধিকারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন।তিনি জানান,আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি এবং আজ বৃহস্পতিবার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও জানান,একজন শিক্ষক হিসেবে তার কাছ থেকে আমরা এটা আশা করিনি।খাতা মূল্যায়ণের জন্য শিক্ষা বোর্ড যাচাই-বাছাই করে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেন।আর সেই শিক্ষক নিজে খাতা না দেখে শিক্ষার্থীদের কাছে সেই খাতা দেয়া এটা মারাত্মক অপরাধ।এ ব্যাপারে শিক্ষকদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া ছিল।খাতা মূল্যায়নের সময় গোপনীয়তা রক্ষা করে একান্ত কক্ষে বসে কাজ করা।খাতা মূল্যায়নকারীর ভুলের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়ে পরে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন বোডের পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য শিক্ষকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের দিয়ে খাতা দেখনো এটা কোন ভাবেই ঠিক হয় নাই।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content