প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২৫ , ৬:৪৮:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে।দীর্ঘ তদন্তের পর তার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামসেদ আলম ভারগো গার্মেন্টসের এক্সিকিউটিভ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহান শাহ হত্যার মামলায় এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে জানান, “ঘটনার সঙ্গে আসামি শেখ বশিরউদ্দীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করছি।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান বলেন,২৪ নভেম্বর র্যাব-৩–এর উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক) ধারা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেন।
আকিজ বশির গ্রুপের কর্ণধার শেখ বশিরউদ্দীন গত বছরের নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। এরপরই আলোচনায় আসে যে,জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরা থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তার নাম ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ ছিল।মামলার এজাহারে উল্লেখিত ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নামটি তার নাম ও তার বাবার নামের সঙ্গে মিলে যায়।
গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরার সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিবিদ্ধ হন সোহান শাহ (৩০)।চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ২৮ আগস্ট মারা যান।পরে সোহানের মা সুফিয়া বেগম গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে শেখ হাসিনাসহ মোট ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
যদিও মামলার বাদী সুফিয়া বেগম তখন জানান, তিনি নিশ্চিত নন কারা আসামিদের তালিকায় নাম দিয়েছে; তবে তার বক্তব্য ছিল— আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় তার ছেলে নিহত হয়েছেন।
‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নাম এসেছে’ — শেখ বশিরউদ্দীন
মামলার শুরুতে শেখ বশিরউদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
“ভুল তথ্যের ভিত্তিতেই হয়তো আমার নাম মামলায় এসেছে।”
আদালতের সিদ্ধান্তে মামলার বোঝা কাটল বশিরউদ্দীনের
তদন্তে কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেয়।ফলে আলোচিত এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো দায় থাকছে না।

















