প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ৫:০১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সিদ্ধান্তকে ‘ভাঁওতাবাজি ও আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।সাংবাদিকদের এই সংগঠন মনে করে নতুন আইনের মাধ্যমে সরকার দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধোঁকা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।নতুন আইনেও ভীতির পরিবেশ অপরিবর্তিত থাকবে এবং নতুন আইনও স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথে অন্তরায় হবে।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছে বিএফইউজে।সংগঠনের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন বিবৃতিতে বলেন,প্রস্তাবিত নতুন আইনে যেসব বিধান থাকছে,তাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মৌলিক কোনো পার্থক্য থাকছে না।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে,নতুন বোতলে পুরোনো পানীয় পরিবেশনের মতোই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাবে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি,বিশিষ্টজনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ও মতামত ছাড়াই নতুন আইনে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ বহন করে না।
নতুন আইনে বিভিন্ন ধারায় যে বিধানগুলো সন্নিবেশ করা হচ্ছে,তাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিপীড়নের খড়্গ ঝুলবে বলে মনে করে বিএফইউজে।তারা বলছে,মানহানির জন্য কারাদণ্ডের পরিবর্তে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান অনেকটা ‘যাহা লাউ, তাহাই কদু’র মতো।এত মোটা অঙ্কের জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে কেউই স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকতা করতে পারবে না। আবার জরিমানা অনাদায়ে জেলের বিধানও রাখা হয়েছে।
নতুন আইনে জামিন অযোগ্য কয়েকটি ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে, তা ইতিবাচক হলেও দেশের বিচারব্যবস্থার বর্তমান বাস্তবতায় জামিন পাওয়া না-পাওয়া ‘ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছাধীন’ বলে মনে করে সাংবাদিকদের এই সংগঠন।
বিএফইউজে নেতারা ছলচাতুরী পরিহার করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পুরোপুরি বাতিল এবং এ আইনে দায়েরকৃত সাত হাজারের অধিক হয়রানিমূলক মামলা বাতিলের দাবি জানান।