আন্তর্জাতিক

বাইডেনের কোয়াড বৈঠক ও অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল

  প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৩ , ৯:৩০:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।জাপানে জি-৭ বৈঠকের পরেই আমেরিকা ফিরবেন বাইডেন।কোয়াড বৈঠক ও অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করতে হয়েছে তাকে।ঋণ সংকটের জন্যই বাইডেনকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

বলা হয়েছে,রোববার (১৪ মে) জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই বাইডেন দেশে ফিরবেন।তারপর তিনি আবার মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।বাজেট নিয়ে যাতে মতৈক্য হয়,আমেরিকা যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঋণখেলাপি না হয়,তা নিশ্চিত করবেন বাইডেন।

বাইডেন ইতোমধ্যে হোয়াইট হাউসে কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরা মনে করছেন,একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।কিন্তু হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন,দুই পক্ষের মধ্যে এখনো বিপুল মতবিরোধ আছে।

ঘটনা হলো,মার্কিন কংগ্রেসকে অ্যামেরিকার ঋণের সীমা বাড়াতে হবে।তা না করলেও ১ জুন থেকে আমেরিকা ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণখেলাপি হয়ে যাবে।মার্কিন সরকার যদি তাদের দায়বদ্ধতা পুরো না করতে পারে,তাহলে আন্তর্জাতিক আর্থিক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

বাইডেন জানিয়েছেন,মঙ্গলবার (১৬ মে) ওভাল অফিসে তিনি যে বৈঠকে বসেছিলেন তা ভালো হয়েছে।বাইডেনের কথা শুনে মনে হয়েছে,সমঝোতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।ম্যাকার্থিও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,এই সপ্তাহের শেষে সমঝোতা সম্ভব।

সম্ভাব্য আর্থিক বিপর্যয় নিয়ে তার মন্তব্য,কীভাবে আমরা আলোচনা করব,সেই কাঠামোর বিষয়টি এখন আগের থেকে অনেক স্পষ্ট হয়েছে।’ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে রিপাবলিকানরা দাবি করেছেন,ঋণের সীমা বাড়াতে গেলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ কমাতে হবে।আর সরকারি অর্থ যারা পাচ্ছে,তাদের কাজ করার বিষয়টি আরও কঠোর করতে হবে।কিন্তু বাইডেন ঋণের সীমা বাড়ানো এবং বাজেট বরাদ্দের বিষয়টিকে জুড়তে চাইছেন না।

ঠিক হয়েছিল,জি-৭ বৈঠকের পর বাইডেন কোয়াড বৈঠকেও যোগ দেবেন।কোয়াড মানে আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া,জাপান ও ভারতের মঞ্চ।মূলত চীনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্যই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।বাইডেন ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছেন,তিনি যেতে পারবেন না।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।পরে তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বাইডেন এরপর প্রথম সুযোগেই অস্ট্রেলিয়া আসবেন বলে জানিয়েছেন।পাপুয়া ও নিউ গিনিতে এখনো পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাননি।তারাও এই সফর বাতিল হওয়ায় হতাশ।

আরও খবর

Sponsered content