অর্থনীতি

বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলারের একটি ঋণ অনুমোদন করেছে-এডিবি

  প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৪:৩৬:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজস্ব আহরণে ‘খারাপ সময় পার করা’ বাংলাদেশের জন্য ৬০ কোটি ডলারের একটি ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।এই অর্থে অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি দেশীয় সম্পদ আহরণ বাড়ানোর সক্ষমতা বাড়াতেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বুধবার এডিবি বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স টিম লিডার গোবিন্দ বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঋণ অনুমোদনের তথ্য জানানো হয়।

একে বলা হচ্ছে ‘নীতি-ভিত্তিক’ ঋণ,যার উদ্দেশ্যের মধ্যে আছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা,সরকারি বিনিয়োগের দক্ষতা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করা,স্বচ্ছতা ও সুশাসন উন্নয়ন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ রাজস্ব আহরণে খারাপ সময় পার করছে।৭ দশমিক ৪ শতাংশ কর-জিডিপি নিয়ে বিশ্বের সর্বনিম্ন কর-জিডিপি অনুপাতের দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ এর এ লড়াই করতে হচ্ছে।নীতি-ভিত্তিক‘ এ ঋণ বাংলাদেশকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা উন্নত করার পাশাপাশি দেশীয় সম্পদ আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে মূল নীতিগত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।”

এডিবি বাংলাদেশের জন্য নীতি-ভিত্তিক ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে বলেছে,এটি দেশীয় সম্পদ আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে মূল নীতিগত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।
এডিবি বাংলাদেশের জন্য নীতি-ভিত্তিক ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে বলেছে,এটি দেশীয় সম্পদ আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে মূল নীতিগত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।

ঋণ কর্মসূচির মধ্যে ডিজিটালাইজেশন এবং ‘সবুজ’ উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও ছাড়ের যৌক্তিককরণ এবং কর মনোবল বাড়াতে করদাতাদের সহায়তা করার ব্যবস্থা রয়েছে।

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা উন্নত করা এ ঋণের আরেকটি উদ্দেশ্য।

এ ঋণ দেশের ‘নিয়ন্ত্রক পরিবেশকে’ সহজ করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।পাশাপাশি সবার জন্য ‘সমান সুবিধা’ দিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

ব্যবসায়ী পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপারেশন সহজতর করার জন্য, একটি অনলাইন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে যেখানে ১৩০টিরও বেশি পরিষেবা থাকবে।

এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন,বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দ্রুত উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এডিবি এই ঋণের মাধ্যমে পাশে আছে।সংস্কারের লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা,সুশাসন এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার উন্নতি।”

আরও খবর

Sponsered content