সারাদেশ

বরিশাল নগরীর নাজিরের পুলের মাদক স্পট চিরতরে বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা চায় নগরবাসী

  প্রতিনিধি ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:০৮:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধি।।বাড়ছে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীর সংখ্যা।নগরের প্রতিটি এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল,ইয়াবা,গাঁজা।মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দু-চার জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরলেও তারা কেবল সরবরাহকারী।মাদক বাণিজ্যের মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

বরিশাল নগরীর অন্যতম চিহ্নিত একটি মাদক স্পট নাজিরের পুলওই স্পটে একটি ক্লাব রয়েছে যেটিকে মাদকের আখড়া বলে থাকেন জনতা।দিন-রাতের প্রায় সময়ই মাদক ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আগমনে মুখরিত থাকে সেটি। ষক্লাবের মাদক বাণিজ্যের হর্তাকর্তারা সরকারের নির্দেশে চলা মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযানের সময় আটকও হয়েছিলেন।কিন্তু থেমে থাকেনি বাণিজ্য।

অনেকটা ওপেন সিক্রেট বিষয় হচ্ছে- ক্লাবটিকে ছত্রছায়া দিয়ে আগলে রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের একজন প্রভাবশালী কাউন্সিলর।

জনশ্রুতি রয়েছে,ওই ক্লাবটিতে মাদক বাণিজ্যের বিষয়টি বহু বছরের ঐতিহ্য!যে সরকারের উপর মহলের নির্দেশে চলা সাড়াশি অভিযান থেকে ক্লাবটি বাদ পড়লে স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্নের মুখ পড়ে যায়।তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে এবং এর নিয়ন্ত্রক সেই কাউন্সিলরের গ্রিন সিগন্যাল নিয়েই কতিপয় লোককে তখন ক্লাব থেকে ধরা হয় বিতর্ক এড়াতে।

সেই অভিযান যে লোক দেখানো ছিলো,বর্তমানে সেই ক্লাব আবার জমজমাট বাণিজ্যে মেতে ওঠায় এবং অভিযানে আটক ব্যক্তিরাও আগের অবস্থায় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় তা অনুমান করা যায়।

অভিযোগ আছে, অনেক ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ব্যক্তি ওই ক্লাবে যাতায়াত করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই স্পটে অভিযান চালায় না।

ক্লাব সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে,এ মাদক স্পটটি পরিচালনা করেন ওই কাউন্সিলরের সহযোগী খ্যাত সবুজ ওরফে ফ্যাসা এবং ,রফিক,জামাল ওরফে খাটো জামালসহ আরো ৭/৮ জন।এরা প্রত্যেকেই একাধিক মাদক মামলার আসামি।কিছু দিন আগে কালা নামে তাদের এক সহযোগী ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক হয়েছে।

আরো জানা গেছে, পাচঁ কেজি গাজাসহ এই চক্রের পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছিলেন।এরা হলেন নগরীর কাউনিয়া এলাকার নূরুজ্জামান (৫০),কাউনিয়া সাবান ফ্যাক্টরি এলাকার মানিক হাওলাদার (৪০),ভাটিখানা এলাকার সুলতান হাওলাদার (৪৫),সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন।

নগরীর বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিকের সঙ্গে কথা বললে তাদের মন্তব্য- নাজিরা পুলের ওই মাদক স্পটটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মাদক বাণিজ্য। এতে করে ধ্বংস হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে, যুবকসহ সব শ্রেণির মানুষের ভবিষ্যত এবং পরিবার।

মাদক ব্যবসার সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় গাঁজা,ইয়াবা,ফেন্সিডিলসহ আটক হলেও জামিনে বেড়িয়ে আবারও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন সরকার প্রধান।ওই সময় ওই স্পটে অভিযান চালায় কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।প্রায় ১ কেজির মতো গাঁজা উদ্ধার করে।

তারা বলছেন, বর্তমানে ক্লাবটিতে ক্ষমতাশীন দলের সেই কাউন্সিলর না বসলেও তার নাম ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যেই তাদের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।

সচেতন বরিশালবাসী এই মাদক স্পটটি চিরতের বন্ধ করতে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকার দাবি জানিয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content