অপরাধ-আইন-আদালত

বরিশাল চরমোনাইতে আদালতের আদেশ অমান্য বসতঘর ভাংচুর ও জমি দখল

  প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২৪ , ২:০৬:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম রবি॥আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা বসতঘর নিয়ে চাচা-ভাতিজার হামলা-মামলার মধ্যে ঘর বিক্রির ঘটনায় দ্বন্দ্ব ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যার পূর্বে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর বাজার সংলগ্ন রাজধর গ্রামের খান বাড়িতে বসতঘরটি নিয়ে এ হৈ-হুল্লার ঘটনা ঘটে।

গত ১০ জুন বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দুই পক্ষকে নোটিশ প্রদান করার কয়েক দিন পর ওই ঘটনার সূত্রপাত্র ঘটে।মামলার বিবাদীরা হলেন মোঃ আজাহার আলী খান সহ আফরোজা আক্তার বুনু,পারুল বেগম,ইতি আক্তার নাজনীন ও তায়বা আক্তার।

দায়েরকৃত মামলার বাদী তুহিন খান বলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মনোয়ার হোসেন জুয়েল এর নেতৃত্বে বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে তার মদদে ঘর বিক্রি হয়েছে।

ইউপি সদস্য বলেন,ঘর বাবদ আগেই তাদের ওয়ারিশদের মধ্যে অর্থ লেনদেন হয়েছে।বৃহস্পতিবার তাকে ওই বাড়ি ডেকে নেয়া হয়েছিল।চাচা-ভাতিজার দ্বন্দ্বে এলাকায় পক্ষ-বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না।

মনিরুজ্জামান বাদল বলেন, বৃহস্পতিবার বসতঘরটি ভাঙ্গতে শুরু করলে তিনি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রাহাতুলকে মুঠোফোনে জানিয়ে বলেন,পুলিশের পক্ষ থেকে বসতঘর ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছে কিনা?উত্তরে এসআই তাকে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ঘর ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন।

আজাহার আলী খান হৃদরোগের রোগী হওয়ায় তার মেয়ে আফরোজা আক্তার বলেন,প্রতিপক্ষ ঘর বাবদ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।তাদের সব দাবী গুরুত্বহীন।

সাহিন খান বলেন,ঘরটি বিক্রি করায় এখন আমরা মানবেতর জীবনযাপন করতেছি।আর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এমন ঘটনার অনুকূলে বিচার চান।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর ছফুরুন নেছা বাদীকে সহ তার তিন নাতী সাহিন খান ও ছাদ্দাম হোসেন খান কে জনপ্রতি ৩ করে মোট ৯ শতাংশ জমি হেবানামা বা দানপত্র দলিল করে দেয়।দলিলও জমির সকল কাগজপত্রসহ দখলেও তারা রয়েছে।জমি ভাগ হবার কারণে বাদীর দাদা মৃত. হাজী আ. লতিফ খানের নির্মাণ করা কাঠ ও টিনের বসতঘরটি জমির অংশ দুই ভাগে ভিভক্ত হয়ে বাদীর চাচা বিবাদী মো: আজাহার আলী খানের ভাগে অর্ধেক পড়ে।দীর্ঘদিন একত্রে বসবাস করলেও হঠাৎ চলমান বছরের গত ৫ জুন সকালে বিবাদীরাসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন ভবন নির্মানের চেষ্টা করলে বাদী আদালতে মামালা (নং-৯৭৮/২৪) দায়ের করেন।আবার এই ৯ শতাংশ জমির বিপরীতে বিবাদীরাও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। দুই পক্ষেরই মামলা চলমান রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content