সারাদেশ

বরিশালে ১৪ বছর ধরে মৎস্য বাজার অচল

  প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:০১:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।বরিশালে ১৪ বছর ধরে পড়ে আছে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের আওতাধীন বরিশাল মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্রটি।স্থানীয়দের দাবি, প্রভাবশালীদের যোগসাজশের কারণেই বন্ধ হয়েছে এটি।
বরিশাল মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্র।
এক সময় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্রটি সরগরম থাকলেও এখন তা শুধুই স্মৃতি।কালের পরিক্রমায় মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের আওতাধীন বরিশাল মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্রটি পরিণত হয়েছে টাইলসের গোডাউনে।তবে গেটের সামনে এখনও শোভা পাচ্ছে কেন্দ্রের সাইনবোর্ড।

জানা গেছে, ১৯৮৫-৮৬ অর্থ বছরে নগরীর বান্দরোডে নির্মাণ করা হয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।এরপর টানা ২১ বছর পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে কেন্দ্রটি সচল হলেও ২ বছর পর হঠাৎ আবার বন্ধ হয়ে যায়।২০১৫ সালের দিকে দুটি টাইলস কোম্পানির গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেয়া হয় অবতরণ কেন্দ্রটি।

বাজারের শ্রমিক ও স্থানীয়দের অভিযোগ,প্রভাবশালীদের যোগসাজশে বন্ধ হয়েছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।

রবিউল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান,প্রভাবশালীরা এখানে থাকা বরফ কলসহ বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে। বাজারটি বন্ধ হওয়ার পর অনেক শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছি। আমরা সবাই এতে বিপাকে পড়েছি।দ্রুত বাজারটি পুনরায় চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সরকারি অবতরণ কেন্দ্রটিতে জায়গা সংকটসহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছের ব্যবসা শুরু করার কথা জানান মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

পোর্টরোড মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক ইয়ার হোসেন সিকদার বলেন,জায়গা সংকট,বরফ সংকটসহ নানা সংকট আছে বাজারটিতে।বাজারটি ব্যবসায়ের জন্য উপযোগী না।তবে সরকার সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আমরা আবারও বাজারটি ফেরাতে পারি।

এদিকে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার জি এম মাসুদ শিকদার জানান,মৎস্য ব্যবসায়ীরা পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অবতরণ কেন্দ্রটি সচল করা হবে।

২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত দুই বছরে বরিশাল মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্রটি থেকে মোট ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

আরও খবর

Sponsered content