প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১১:৪৬:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
রবিউল ইসলাম রবি॥৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই অনান্য স্থানের ন্যায় বরিশাল নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের পাশাপাশি লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।ক্ষতিগ্রস্তরা ঘটনার পর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করতে পারেনি।এ তথ্যর সত্যতা স্বীকার করেন ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল নবী খোকন।

তিনি বলেন,৫ আগষ্ট বিকেলে প্রথমে ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক মোঃ সোহরাব হাওলাদারের পুরানপাড়ায় অবস্থিত বসতঘর ভেঙ্গে ফেলে হামলাকারীরা।পরদিন ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টায় আমার বসতঘর সহ ‘কবিরাজ জেনারেল স্টোর’ নামক মুদির দোকান ও ঘেরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়।একই সাথে ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মোঃ জিয়াউদ্দিন ফকিরের বসতঘরও ভাংচুর করা হয়। তিনি আরো বলেন,বসতঘর,দোকান ও মাছের ঘেরে ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় এককভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ৮/৯ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক মোঃ সোহরাব হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন,বসতঘরের নুনের বাটি পর্যন্ত নিয়ে গেছে। দিয়েছে আগুন।মাস কয়েক আগে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছিলাম।তার শশুর বাড়ি থেকে দেয়া এফজেট মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায় হামলাকারীরা।পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে গাড়িটি ফেরত আনি।আর যে সব পোলাপানরা এ সব কার্যক্রম করেছে ওদের সাথে কোন শত্রুতা ছিল না।বর্তমানে তিনি জ্বরে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বলে জানান।
যুবলীগের সদস্য মোঃ জিয়াউদ্দিন ফকির বলেন,তার বসতঘর ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে হামলাকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,নগরীর ৩নং ওয়ার্ড মতাসার, ২৯ নং ওয়ার্ড বাঘিয়ার শেষ প্রান্ত ও কাশিপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ড বিল্লাবাড়ি পাশাপাশি সংযুক্ত এলাকা।যুবলীগ নেতা নুরুল নবী খোকনের বসতঘর মতাসার এলাকায় হলেও মালিকানা জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল বিল্লাবাড়ি এলাকায়। ৭৫ শতাংশ জমিতে ছিল মাছের ঘের।চাষ করা ছিল বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সংযুক্ত ওই তিন এলাকার মধ্যে প্রথমে ২৯ নং বাঘিয়া এলাকায় মোঃ ফিরোজ মল্লিকের ভাতের হোটেল হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে হামলাকারীরা।পরে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন,হামলার ঘটনার পর যুবলীগের নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে এলাকা থেকে সরে গিয়েছিল। ঘটনার দিন থানায় গেলেও কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করতে পারেনি।থানায় গেলেও পুলিশ মামলা তো দূরের কথা অভিযোগও নেয়নি।পরে আদালতে গেলেও দেশের পরিস্থিতি থমথমে থাকায় আইনজীবী না পাওয়ায় মামলা দায়েরে ব্যর্থ হয়েছিল।তবে এখন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শুনেছি।

















