সারাদেশ

বরিশাল-পটুখালী বাস মালিক সমিতির কাওসার হোসেন শিপনের ভয়ঙ্কর আমল নামা

  প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৪৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম ॥ রূপাতলীর আলোচিত মামুন গাজী শিশু হত্যার হোতা বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আ.লীগ নেতা কাওসার হোসেন শিপন ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। একের পর এক অন্যায় অপকর্মের ফিরিস্তি রচনা করে চললেও এ যেনো দেখার কেউ নেই। বরিশাল অপরাধ জগতের সঙ্গে অনেক আগ থেকেই এই শিপনের কানেকশন রয়েছে। তার পরিবারের সকলেই বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। একদা বিএনপি’র মিছিল মিটিংয়েও শিপনের পর্দাপন ছিলো। আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধপন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার অব্যাহত অপকর্মে মহল বিশেষের প্রশ্ন শিশু হত্যাকারী কাওসার হোসেন শিপন এখনও কিভাবে কোন শক্তিকে বহাল তবিয়তে থাকছেন। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী সকল ধরণের অপরাধীদের বিষয়ে হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়ে কাজ করে চলছেন, এরকম অবস্থায় শিপনের দৌরাত্য নিয়ে বরিশালের সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে-১৯৯৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী রাতে শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি মোকছেদ আলী গাজীর পুত্র শিশু সন্তান মামুন গাজীকে রূপাতলীর সাবেক কাউন্সিলর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ এবং তার ভাই কাওসার হোসেন শিপনসহ মোট ৬ জন মিলে শিশু মামুন গাজীকে হত্যা করে। পরের দিন পাশ্ববর্তী ওহাব গাজীর পুকুরে শিশু পুত্র মামুন গাজীর লাশ পাওয়া যায়। অত:পর একই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী ফিরোজ আহম্মেদ, শিপন, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল খালেক, ফরিদ হাওলাদার, তৈয়ব আলী হাওলাদার এর বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার জিআর কেস নং ৭৩/৯৬। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশ কর্তৃক তদন্তে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। মামলাটি বিচারের জন্য বরিশাল ২য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ন্যাস্ত হয়। যার সেশন মামলা নং৭/৯৭। উক্ত মামলায় বর্ণিত আসামীদের ২০০০ সালের ২৫ জুলাই আদালতের রায়ের যাবৎজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডি করা হয়। আসামী পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১৮৫৯/২০০০ নং ফৌজদারী আপিল মহামান্য হাইকোর্টে দাখিল করেন। পরবর্তীতে শিপন গং মহামান্য হাইকোর্টে অতিগোপনে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ একটি রায়ে আদেশ হাসিল করে রাখেন। শিশু পুত্র মামুন গাজীর হত্যার মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে দায়ের সম্পর্কে মোকছেদ আলী গাজী কিছুই জানতেন না। কেবলমাত্র ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে শিপন বিষয়টি প্রকাশ করে মোকছেদ আলী গাজীকে হুমকী প্রদান করেন। অত:পর মোকছেদ আলী গাজী মহামান্য হাইকোর্টে গিয়ে ১৮৫৯/২০০০ নং মোকদ্দমার নথিটি খুঁজিতে থাকেন। কিন্তু নথিটি আসামী পক্ষ বেআইনীভাবে গায়েব করে ফেলেন। যার হদিস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উপায়ন্তর না দেখে মোকছেদ আলী গাজীর পুত্র হত্যার বিচারের দাবীতে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না ধরেন। অবশেষে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে ৬২/২০১৯ ইং পিটিশন লিফ টু আপিল দাখিল করেন। যা বর্তমানে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পরে যে, মোকছেদ আলী গাজীর শিশু পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে যখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে দারস্ত হয়েছে। এরপরই সাবেক কাউন্সিল বিএনপি নেতা ফিরোজ আহম্মেদ ২/৩বার মোকছেদ আলী গাজীকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। যার বিচার চেয়ে মোকছেদ আলী গাজী প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও কোন প্রতিকার পাননি। বর্তমানে শিপন, যিনি ইতোপূর্বে তার সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। তিনি মোকছেদ আলী গাজীকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের মোকদ্দমা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। সে বলে বেড়ায় আমি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা। প্রশাসন আমার হাতের মুঠোয়। এ বিষয়ে বরিশাল সিটি মেয়র এর আশু দৃষ্টি কামনা করেন মোকছেদ আলী গাজীর পরিবার। বলাবাহুল্য :২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল এর জন্ম দিনে প্রধানমন্ত্রী কঠোর ভাষায় হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছেন-বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন ও এবং শিশু হত্যার বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কাওসার হোসেন শিপনের এর আমলনামা : ভূমি দস্যুতা, দখল সন্ত্রাসসহ নানা অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অগাধ বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গিয়ে এই শিপন যেনো এলাকার ডন রূপ ধারণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়,তবুও অদৃশ্য শক্তির কারণে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় অপকর্ম করে বার বার পাড় পেয়ে যাচ্ছেন। এতে শিপনের খপ্পরে পড়ে কিংবা দখল সন্ত্রাসের শিকার ভুক্তভোগীরা গুমড়ে গুমড়ে কাঁদছে। বিচারের বাণী কাঁদে নিরবে নিবৃত্তে, এ যেনো দেখার কেউ নেই। স্থানীয়সহ একাধিক সূত্রের ভাষ্য-ভূমি দস্যুতার মাধ্যমেই কাওসার হোসেন শিপন বেশ কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যাদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন,তারা এখন নি:স্ব। ভুক্তভোগীদের করুন আর্তনাদে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে উঠলেও ভূমিদস্যু শিপন রয়েছেন বহাল তবিয়তে। বরংচ অবৈধপন্থায় অর্থ বিত্তের জন্য শিপন ও তার সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অবৈধপন্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক বনে যাওয়া আলাদিনের চেরাগ পাওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে সরকার হার্ডলাইনে আবস্থানে থেকে কাজ করছেন। অপকর্মকারী দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে পথ বেয়ে চলছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্যনুযায়ী-দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অপকর্মের মাধ্যমে অবৈধপন্থায় কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়েছেন, তাদের কোন ছাড় নেই। সে যে দলেরই হোক। এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিষয়েও জিরো টলারেন্স। এরইপরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি অভিযানে আওয়ামী লীগ নামধারী কয়েক রাগববোয়ালরাও ছাড় পায়নি। খোদ আওয়ামী লীগেও শুদ্ধি অভিযানের কথা উঠছে। এরকম অবস্থায়ও বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও মহানগর আ.লীগ নেতা কাওসার হোসেন শিপন অব্যাহত অপকর্মের ফিরিস্তি রচনা করে চলছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে-বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও মহানগর আ.লীগ নেতা কাওসার হোসেন শিপন রূপাতলী হাউজিং এর ২০৮ টি ভবনের প্রতিটি ভবন থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে ১৪ টি রাস্তা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে রাস্তা না করে সর্বমোট ১ কোটি ৪ লাখ টাকা আত্মসাত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাউজিংয়ের নাসিরের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে নিয়েছে কাওসার হোসেন শিপন। নাসির এর ভাষ্যনুযায়ী- ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শিপন। হাউজিং থেকে শিপন কর্তৃক ভুক্তভোগীরা হলো মো: জালাল, শাহীন, মো: ছাত্তার, মো: আলী, হাবিবুর রহমান। এদের অর্থ লুটে নিয়েছে শিপন। বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির একটি সূত্র জানায়-সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিপন অবৈধপন্থায় অর্থের ধান্ধায় এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, সমিতির সভাপতিসহ বাস মালিকদের একাংশ শিপনের হুমকীর মুখে থাকায় খোদ সমিতির কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছে না। এছাড়া দৈনিক ৮০টি বাস থেকে ১ হাজার করে চাঁদা আদায় করে শিপনের সহযোগিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন থাকা শিপন মহানগর আ’লীগের সদস্যপদ বাগিয়ে নিয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে নগরীসহ গোটা দখিনা জনপদের লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। একাধিক ভূক্তভোগী জানায়, কাওছার হোসেন শিপন জনসম্মুখে হুঙ্কার দিয়ে বেড়াচ্ছে সে মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর লোক। কেউ তার কিছু করতে পারবেনা। তবে সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তিনি (সাদিক) জনগণের রাজনীতি করেন। জনবিরোধী কিংবা জনগণকে হয়রানী মূলক কোন কর্মকান্ডকে তিনি সমর্থন করেন না। স্থানীয় আ’লীগের একাধিক পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মী জানান, এ ধরণের বুলি আউড়িয়ে শিপন নিরীহ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, কিন্তু ওর নিজস্ব কোন ক্ষমতা নাই। শিপনের বড় ভাই ফিরোজ বরিশাল মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, মেয়ে জামাই জিয়া উদ্দিন সিকদার মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সহ তার পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তারা একাধিক নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস মামলার আসামী। একাধিক সূত্র জানায়, এক সময়ে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ এর সময়ে সাধারন সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয় শিপন। পরে হিরণপত্নী জেবুন্নেছা আফরোজের কোরামে বেশ কিছুদিন অবস্থান নিয়ে আলাদীনের চেরাগ বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারী পদ টিকাতে বেশি একটা সুবিধা করতে না পেরে দিশেহারা শিপন যোগ দেয় সাদিক আব্দুল্লাহর শিবিরে। এর পরও থেমে থাকেনি শিপন মহানগর আলীগের তকমা লাগিয়ে জামায়াত-বিএনপির ক্যাডারদের নিয়ে একের পর এক ভুমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে দাপটের সাথে। এদিকে ২৪ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর এএসএম মাইনুদ্দিন খান আইয়ুব এর পক্ষ নিয়ে শিপন মহামান্য হাইকোর্টে ২৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রূপাতলীর খান বাড়ির মোঃ আলম খানের দায়ের করা মামলা ও নিম্ন কোর্টর ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখল পাইয়ে দেয়ার পায়তারা চালায় তিনি। একই সাথে রাতের আধার জামায়াত-বিএনপির ক্যাডার বাহিনী নিয়ে নগরীর কোতয়ালী মডেল থানাধীন রূপাতলী মৌজার জেএল নং ৫৬ এসআর খতিয়ান নং ২০৯, আরএস দাগ নং, ৪১৭৬, ২৩৬৬, ২৩৬৭, ২৩৬৮, ২৪০২, ৪১৭৫, এসএ খতিয়ান নং, ২২৫৩, এসএ দাগ নং, ৪১৭৬, ২৩৬৬, ২৩৬৭, ২৩৬৮, ২৪০২, ৪১৭৫, মোট জমির পরিমান ২.২২(একর) ওই জমির মধ্যে বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড ও মালিকানা সাইনবোর্ড ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগীরা। অপর একটি সূত্র জানায়- রূপাতলী হাউজিংয়ে কালাম ঠাকুর এর ভবনের নিচ তলায় শিপন ভাড়া থাকতো। পরবর্তীতে ওই বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে মালিককে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হত্যার হুমকী প্রদর্শন করে। পরে ৬০ লাখ টাকার ওই বাড়ি ১৯ লাখ দিয়ে বাড়ির মালিক কালাম ঠাকুরকে বিতাড়িত করে। আরেকটি সূত্র জানায়, রূপতলী ও তার আশপাশ এলাকায় প্রায় ৫০ একর সম্পত্তি জালজালিয়াতি ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে কাওসার হোসেন শিপনের বিরুদ্ধে। সূত্র জানায়-রূপাতলী হাইজিংয়ের কল্যান সমিতির সভাপতিও কাওসার হোসেন শিপন। একইসঙ্গে এই মস্তবড় অপরাধী কমিউনিটি পুলিশেরও সভাপতি। একাধি সূত্রের ভাষ্য-শিপনের মেয়ে স্বর্না অষ্টোলিয়ায় বসবাস করছেন। অভিযোগ উঠেছে মেয়ের মাধ্যমে বাস মালিক সমিতির লুটের টাকাসহ অন্যান্য অবৈধ টাকা অষ্ট্রেলিয়ায় পাচার করছে। এলাকায় নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি, ত্রাসের রাম রাজত্ব, ভূমি দস্যুতায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ অসংখ্য অপরাধের হোতা কাওসার হোসেন শিপন এর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীরা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আরও খবর

Sponsered content