সারাদেশ

ববি অশান্ত করে তুলছে ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন

  প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২৪ , ২:৪০:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধি॥বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ‌অফিসার্স এসোসিয়েশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়া গুটিকয়েক কর্মকর্তা মিলে গত ২ জুন “ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন” নামক একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেছে। যা সংগঠনের গঠনতন্ত্রের নিয়ম বর্হিভূত। “ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন” এর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারা সংবাদ পাঠাচ্ছেন এবং প্রকাশিত সংবাদ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার ফলে বরিশালসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সর্বত্র বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ‌অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সম্পাদকসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৪ জুন) শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ‌অফিসার্স এসোসিয়েশন সভাপতি মোঃ বাহাউদ্দিন গোলাপ লিখিত বক্তব্যে বলেন,যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো পেশাজীবি সংগঠন গঠন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।সেই নিয়ম মেনে ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি ববি’র উপাচার্যের স্বাক্ষরিত কর্তৃপক্ষীয় অনুমোদনের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন” এর যাত্রা শুরু হয়।একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন,কল্যাণ পরিষদ গ্রেড ১১-১৬ এবং কল্যাণ পরিষদ গ্রেড ১৭-২০ নামক মোট ৪ টি অনুমোদিত পেশাজীবি সংগঠন বিদ্যমান রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট কর্মকর্তা সংখ্যা ১২৪।এই ১২৪ জন কর্মকর্তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সদস্য।কিন্তু যারা অফিসার্স এসোসিয়েশন এর বিগত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে যারা পরাজিত হয়েছে তার মধ্যে গুটিকয়েক কর্মকর্তা মিলে গত ২ জুন “ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন” নামক একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেছে।যা বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তাদের ভাষ্যমতে,যে সকল কর্মকর্তা সরাসরি কর্মকর্তা পদে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন,তাদের নিয়ে এই সংগঠন।

সভাপতি আরো বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭৬ জন কর্মকর্তা সরাসরি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন।অথচ তারা এই ৭৬ জন কর্মকর্তার অধিকাংশকেই না জানিয়ে সামান্য সংখ্যক কর্মকর্তা মিলে এই সংগঠন গঠন করেছেন যেখানে অধিকাংশ কর্মকর্তারই সম্মতি নেয়া হয়নি।এমন কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যহত করবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, “ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন” নামক কোনো সংগঠনের কর্তৃপক্ষীয় কোনো অনুমোদন তিনি প্রদান করেননি।তিনি খুব শীঘ্রইসবাইকে নিয়ে বসে এই সংকটের সমাধান করবেন।কিন্তু খুবই বেদনা এবং উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে,তথাকথিত এই “ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন” এর নাম ব্যবহার করে গণমাধ্যমগুলোতে তারা সংবাদ পাঠাচ্ছেন এবং প্রকাশিত সংবাদ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে যাচ্ছেন।এর ফলে সর্বত্র একটা বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সকলকে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আরও খবর

Sponsered content