প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:১৬:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি।।ফেসবুকে পরিচয় হয় মো. আবু ইউসুফ (২২) ও রহিমা আক্তার সুমির (১৮)।পালিয়ে গিয়ে ইউসুফকে বিয়ে করেন সুমি।মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সম্পর্ক মেনে নেন সুমির পরিবার।পারিবারিকভাবে বিয়ের ৫ মাস পর আলাদা বাসা নেন তারা।এরপরই তাদের মধ্যে শুরু হয় যৌতুকের টাকার জন্য দাম্পত্য কলহ।ঝগড়ার একপর্যায়ে সুমির গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী ইউসুফ।
রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত মো. আবু ইউসুফ কুমিল্লার মুরাদনগরের নবীপুর গ্রামের মাওলানা মো. আবু মুছার ছেলে।নিহত রহিমা আক্তার সুমি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রাম নারায়ণপুর ইউনিয়নের উত্তর রামনারায়ণপুর গ্রামের মো. ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন,ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা নেশা ছিল আসামি ইউসুফের।তার এটি দ্বিতীয় বিয়ে।ইউসুফ সাতক্ষীরায় আরেকটি মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছিল।আমরা সুমির মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি।সে একজন পেশাদার চোর।বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন চুরি করে। তার কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন,সুমি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।মৃত্যু নিশ্চিত করে ইউসুফ বাড়ির তালা দিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। ঢাকায় একদিন থাকার পর দুই তারিখ সকালে আবার ঘটনাস্থলে আসে এবং ভাড়া বাসার ভেতরে প্রবেশ করে মরদেহ টেনে হিচড়ে বাথরুমে নিয়ে যায়।তারপর সে বাথরুমের দরজা আটকে আবার বাসার গেট তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন,পরিবারের সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত। কার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন তার খোঁজ-খবর নেওয়া জরুরি।পরিবার সম্পর্কে জানা দরকার।তা না হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।তাই পরিবারকে সচেতন হতে হবে। আসামিকে আমরা রোববার আদালতে সোপর্দ করব। আশা করি সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে।আমরা দ্রুত চার্জশিট জমা দেব।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) আমিন উল্লাহ,সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।