প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:০৩:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।ফুলপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বাসিন্দা জনৈক স্বামী পরিত্যক্তা শরীফা খাতুন আর এলাকার চিন্হিত মদখোর ও জুয়াড়ি রিপনের অবৈধ পরকীয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বওলা আবাসন প্রকল্প।মা দিলুয়ারা খাতুনের নামে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে অবৈধভাবে তার ছেলে রিপন মিয়া, স্ত্রী রূপালী বেগম আর দুই শিশুপুত্র নিয়ে বসবাস করার সুবাদে প্রতি রাতে মদ খেয়ে শরীফার ঘরে চড়াও হতো বলে আবাসনের বাসিন্দারা জানান।
এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে দোষী স্বাব্যস্থ করে শরীফা খাতুনের ঘরটি বাতিলের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন উপজেলা প্রশাসন ফুলপুর ময়মনসিংহ কর্তৃক জেলা প্রশাসন ময়মনসিংহ বরাবরে প্রেরন করা হলেও থামেনি শরীফা রিপনের অবৈধ পরকীয়া।
শরীফার ভাই সোহাগ মিয়া জানান,গত ১২ মে/২০২২ ইং তারিখ লম্পট রিপন কে শরীফার ঘরে আটক করে ট্রিপল নাইন নাম্বারে ফোন করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।২৭ দিন হাজত খেটে জামিনে বের হয়ে ২৩ জুন/২০২২ ইং তারিখে আবার সে শরীফাকে নিয়ে প্রথমে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় এবং পরে ঢুলিভিটা ধামরাই ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে অবৈধ পরকীয়া বহাল রাখে।
শরীফার আগের স্বামী জুয়েল মিয়া জানান,শুধুমাত্র রিপন মিয়ার লাম্পট্যতায় দুইটা পুত্র সন্তান জন্মের পরও আমাদের দাম্পত্য সংসার টিকেনি।তিন কাঠা জমি বিক্রি করে খাইয়েও আমি শরীফার মন পাইনি।শেষে ডিভোর্স হলো কিন্তু কাওসার ও আব্দুল্লাহ্ নামে আমার দুটি সন্তান নিজের কাছেই রেখে দিয়েছে সে।
গতকাল সরেজমিন ঘুরে তথ্য সংগ্রহকালে জুয়েল মিয়ার ছেলে দুটিকে তাদের নানী আনোয়ারা খাতুন (৬০)এর সাথে মানবেতর দুঃখ কষ্টে জীবনাতিপাত করতে দেখা গেছে।বওলা বাজারের ব্যবসায়ী কালাম মিয়া বলেন,এদের মা শরীফা খাতুনের পরকীয়া ও অবাধ বিকৃত যৌনাচারের ফলে শিশু দুটি এতিম অনাথ হয়ে বাজারের টোকাইয়ে পরিনত হচ্ছে,অথচ এ বয়সে এরা স্কুল-মাদ্রাসায় পড়ার কথা।
অপরদিকে শরীফার চাইতে ৬ বছরের বয়সে ছোট কথিত পরকীয়া প্রেমিক রিপন মিয়াও দুই ছেলে আর স্ত্রী রূপালী বেগমকে মা আনোয়ারার জিম্মায় ফেলে রেখে ২৩ জুন শরীফাকে নিয়ে পালিয়ে গেলে ২ টি শিশু পুত্র সহ রূপালী বেগম চরম অভাব অনটনে পড়ে।ঈদুল আযহা উপলক্ষে রিপন মিয়া স্ত্রী সন্তানের কাছে না ফিরলে এক পর্য্যায় রূপালী বেগম বাচ্চাদের ফেলে রেখে স্বামীর সন্ধানে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
ট্রিপল নাইনে ফোন করে রিপনের বিরুদ্ধে শরীফার দায়ের করা ফুলপুর থানার মামলা নং ১৭ তারিখ ১২/০৫/২০২২ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৪)(খ) এর তদন্তকারী অফিসার এসআই মুকুল সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান,এ মামলার চার্জশীটের কাজ এগিয়ে রয়েছে,বদলি জনিত কারণে বর্তমানে এসআই মোস্তাক এ মামলাটি তদন্ত করছেন।