অপরাধ-আইন-আদালত

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ কেন দেওয়া হবে না-হাইকোর্ট

  প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৮:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩’-এ অধিদফতরের বিভিন্ন পদে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত নির্ধারণ কেন অবৈধ হবে না।দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে বয়সসীমা শিথিল করে অধিদফতরের অধীনে বিভিন্ন পদে পিটিশনার এবং শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।

পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকে ৬০ দিনের মধ্যে পিটিশনারদের দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব,চেয়ারম্যান,বিপিএসসি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মোট ৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন জেলার ২০ জন শিক্ষকের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রিটকারীরা দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।সম্প্রতি সরকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা,২০২৩ প্রণয়ন করে।যেখানে প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য অধিদফতরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি এবং সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদনের সুযোগ রাখা হলেও সেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেখান পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেকোনও শিক্ষক ২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদন করতে পারতেন এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও রাজস্ব খাতে সৃষ্ট পদে অন্যূন ২ বছর স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে চাকরিরত থাকার পর বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন দাখিল করলেও বিবাদীরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ রিট দায়ের করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content