অপরাধ-আইন-আদালত

পুলিশে চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ বাণিজ্য:-দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৪ , ২:২২:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও মাদারীপুর পুলিশ সুপার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়,মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ঘুষ গ্রহণ করেন তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল।

এ ঘটনায় শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে,রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়।বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা আক্তার নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করে রতনকে।

এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস।উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।

চাকরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন,আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ।কিন্তু তিনি চাকরি দিতে পারেননি।সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করেছেন।টাকা ফেরত চাইলে তিনি তালবাহানা করছেন।আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন।এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে তিনি আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে আরেক পুলিশ সদস্যও জড়িত।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান ফকির বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,সংবাদ প্রকাশের পর সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

আরও খবর

Sponsered content