সারাদেশ

পুলিশের প্রয়োজনীয় নম্বর প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন-ডিএমপি কমিশনার, হাবীবুর রহমান

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ২:৫৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানী ঢাকায় প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের ও টহল পুলিশের প্রয়োজনীয় নম্বর প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। একই সঙ্গে সমসাময়িক পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারোদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ট্রাফিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় রোববার তিনি এসব কথা বলেন।ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সকালে এই সভা হয়।

সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের আসন্ন দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন,সমসাময়িক পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতার ও টহল পুলিশের প্রয়োজনীয় নম্বর প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে যে কোনো সময় যোগাযোগ করা যায়।

তিনি বলেন,এ ছাড়া ইন্সপেকশন চেক লিস্টে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় স্বাক্ষর করবেন। স্বেচ্ছাসেবীদের কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন বা তদন্ত উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। দেশের সকল নাগরিক মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।এ জন্য যে কোনো ধরনের প্রতিকূলতা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

পূজামণ্ডপে কোনো সমস্যা আছে কি না ডিএমপি কমিশনার নিজেই খোঁজ নেবেন বলে জানান।কোনো অপতৎপরতার তথ্য পেলে দ্রুততম সময়ে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

সভার শুরুতে শারোদীয় দুর্গোৎসবে ডিএমপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপস্থাপন করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন,নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, আযান ও নামাজের সময় বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারোদীয় দুর্গোৎসব এবার ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। ২০ অক্টোবর ৬ষ্ঠী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

আরও খবর

Sponsered content