সারাদেশের খবর

পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ায় শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৩৫০জন শিশু পেল ঈদের নতুন জামা

  প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২২ , ৪:২৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:-শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের থানা তেতুলিয়ায় রওশন আরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকতনের সকল শিক্ষার্থীকে এবং ভজনপুর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থীসহ মাগুরা এলাকার প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক শিশুকে ঈদের নতুন ড্রেস উপহার দিয়েছে শিশুস্বর্গ। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জনাব কাজী আনিছুর রহমান, রওশন আরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকতনের প্রিন্সিপাল ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব আতাউর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পাগলীডাঙী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব হুমায়ুন কবির সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং সমাজের গুনীজন।

পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় ২০০৯ সাল থেকে শিশুস্বর্গের পথ চলা। শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন একটি প্রাথমিক এবং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছে। এই ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি প্রাপ্ত অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখা করছে।

প্রতি শীতে তেতুলিয়ার হাজারো শিক্ষার্থীকে দিয়ে আসছে শীত বস্ত্র। অসহায় মানুষকে দেখিয়েছে আয়ের পথ। মাদকাসক্ত তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে করে দিয়েছে কর্মসংস্থান।

আজ তাদের অনেকেই স্বাবলম্বী। গ্রামের নারীদের স্বাবলম্বী করতে কিনে দিয়েছেন গরু ছাগল। হস্ত শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেক তরুণী পেয়েছে জীবিকার নতুন উৎস। শুধু তেতুলিয়া নয় এই রমজান মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় পথ শিশু এবং শ্রমজীবী মানুষের জন্য আয়োজন করেছ ইফতার মাহফিল।

শিশুস্বর্গের প্রতিষ্ঠাতা কবীর আকন্দ বলেন শিশুস্বর্গ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা শিশুদের শিক্ষা স্বাস্থ্য সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে যেমন কাজ করছি তেমনি অসহায় দরিদ্র অল্প শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীদের নিয়েও কাজ করছি।অসহায় মানুষকে অল্প আর্থিক সাহায্য করার চেয়ে তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দিতে পারলে সেটা বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে সমাজে।

আমরা বেকারত্ব ঘুছিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করে দিচ্ছি ধাপে ধাপে। আমরা ভবিষ্যতে সারা দেশে কাজ করতে চাই। একটি মানুষের কর্মসংস্থান করে দেয়া মানে ঐ সংসারের অভাব অনটন দুর করে দেয়া। আমরা এসব কাজ মনের গভীর থেকে আনন্দ নিয়ে করি। পরনিন্দা পরচর্চা না করে যার যার অবস্থান থেকে সমাজের মানুষের জন্য এগিয়ে আসা উচিত তবেই একটি সুন্দর সমাজ পাবো আমরা।

আরও খবর

Sponsered content