অপরাধ-আইন-আদালত

নিজে বাঁচার জন্য আমি কাছে অস্ত্র রাখি-শীর্ষ সন্ত্রাসী,সুব্রত বাইন

  প্রতিনিধি ২৮ মে ২০২৫ , ৫:৪৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আদালতে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সাংবাদিকদের বলেছেন,আমি পাওয়ারকে সিজদা করি (উপরের দিকে আঙুল ইশারা করে)।আমার যদি টাকা থাকতো আমি নিজেই পত্রিকা খুলতাম।আপনারা হলুদ সাংবাদিক হইয়েন না।যেটা সত্য,তদন্ত করে আপনারা সেটাই লেখেন। সত্য কথা লিখবেন।১৯৮৯ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে লিখতেছে।আমার নাম বিক্রি করে যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের আপনারা ধরতে পারেন না?নিজে বাঁচার জন্য আমি কাছে অস্ত্র রাখি।কেউ যদি বলে রাখি না,তাহলে সেটা মিথ্যা হবে।’

আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আসার আগে কাটগাড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীকে (৬১)রিমান্ড আবেদনের জন্য আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া অন্য তিনজনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ দিন আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ। রিমান্ড চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩),এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।

পরে আসামি সুব্রত বাইনের আইনজীবী বলেন,মিডিয়া তাকে সৃষ্টি করেছে।শত্রুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ লিস্ট তৈরি করা হয়।এরপর ২০২৫ পর্যন্ত আর কোনো লিস্ট কিন্তু তৈরি হয়নি। তিনি তিনবার গ্রেপ্তার হন মিডিয়ার কারণে।তিনিও আয়নাঘরে ছিলেন।গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে একটা মোবাইল ফোনও জব্দ হয়নি।

আইনজীবী আরও বলেন,কারাগারে তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়,২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে এবং তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করত। সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন।আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার হন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান,আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র,গুলি,অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে।পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকেলে এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের এ মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।গ্রেপ্তার আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার এবং আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পালাতে পারেন।তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

আরও খবর

Sponsered content