জাতীয়

নয় সচিবের বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৫৯:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে ডলার বাঁচাতে গত ৯ নভেম্বর সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিতের ঘোষণা করেছে অর্থ বিভাগ।এর মধ্যে সরকারের নয়জন জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশে যেতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।কিন্তু সেখান থেকে নথি ফেরত পাঠানো হয়।প্রশিক্ষণে যেতে চাওয়া ৯ সচিবের মধ্যে ছয়জন চলতি বছরেই অবসরে যাবেন।

গত বছরের ১২ মে ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে’ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সরকার।তার চারদিন আগে ৮ মে সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে প্রথম দফায় পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।এরপর থেকে অনেক সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফর আটকে যায়। এরই অংশ হিসেবে নয় সচিবের বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

জানা যায়,সূচি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি মাস থেকে জুলাইয়ের মধ্যে এসব কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা।এর মধ্যে জুলাই মাসের আগেই দুজন সচিব অবসরে যাচ্ছেন।চারজন সচিব প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরই অবসরে যাবেন।বাকি তিনজন অবসরে যাবেন এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে।সাত দিনের এই প্রশিক্ষণে প্রতিজন জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের জন বরাদ্দ রয়েছে ১৫ লাখ টাকা করে।৯ জন কর্মকর্তার জন্য মোট ব্যয় হবে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, যেসব কর্মকর্তা আগামী ছয় মাস বা এক বছর পর অবসরে যাবেন,তাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ প্রযোজ্য হবে কি না তা নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।কারণ একটা কোর্স করলে এর ফিডব্যাক কী আসবে সেটা দেখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,যাদের চাকরি অন্তত দুই বছর আছে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।যে অর্থ ব্যয় হবে তার একটা ভালো রিটার্ন আসতে হবে।এভাবে কেউ কেউ গতবার গিয়েছিলেন।এবার আমরা যাদের সময় বেশি আছে তাদের পাঠাতে চাচ্ছি।’

আরও খবর

Sponsered content