প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৩১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।।চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি থেকে এবার প্রচণ্ড দাবদাহ শুরু হয়েছে।চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।তীব্র তাপদাহে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের অলিগলি, গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন,২০১৪ সালে যশোরে তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।নয় বছর পরে আবারও চুয়াডাঙ্গায় এই তাপমাত্রা উঠলো।আগামী দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে,তবে তাপমাত্রা কমবে না।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, টানা ১৩ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়।আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।আগামী আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে।একই সঙ্গে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
এ অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না।নাভিশ্বাস দেখা গেছে মানুষের মধ্যে।
অতীতে কখনও একটানা এভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড এ জেলায় হয়নি।টানা কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় গরমে জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। প্রাণিকুলেরও হাঁসফাঁস অবস্থা।
এর আগে গত ২ এপ্রিল থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা।তবে এ সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম রয়েছে।
একটানা তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হিট স্ট্রোক,ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়াসহ গরমজনিত রোগবালাই বেড়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গায় ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে আজ অন্তর্বিভাগে অন্তত ১৭০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রায় এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে,তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।শ্রমিক,দিনমজুর,রিকশা-ভ্যান চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এমন আবহাওয়া থেকে সহসা স্বস্তি মিলছে না জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে,আগামী বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়তে থাকবে।চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।প্রচণ্ড থেকে প্রচণ্ডতর দাবদাহ দেখা দিতে পারে।