আন্তর্জাতিক

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ-প্রথম সবচেয়ে কঠিন এক পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছেন-এরদোয়ান

  প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৩ , ৬:২৫:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। ধারণা করা হচ্ছে,রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই প্রথম সবচেয়ে কঠিন এক পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ান।তার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু। ছয়টি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত জোট ‘টেবিল এবং সিক্সের’ প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।আরো কিছু সরকারবিরোধী গ্রুপও কিলিচদারোগলুর প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে।

বিরোধীদের অভিযোগ,এরদোয়ানের দুই দশকের শাসনামলে তুরস্ক ক্রমেই একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে—বিরোধী প্রার্থীর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন এরদোয়ান। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরো মোট তিন প্রার্থী লড়ছেন। এরদোয়ান ও কিরিচদারোগলুর বাইরে তৃতীয় প্রার্থী হলেন, ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী সিনান ওয়ান।তবে সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে—তরুণ ভোটারদের কাছে এই এরদোয়ান ও কিলিচদারোগলুর আবেদন বেশি।এ কারণে প্রধান বিরোধী জোটের সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে,কিলিচদারোগলুর ভোট ভাগ হয়ে গেলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে গড়াতে পারে।কারণ কোনো প্রার্থী ভোটারদের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দুই সপ্তাহ পর দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।আর আজকের নির্বাচনে কেউ যদি অর্ধেকের বেশি ভোট পান তাহলে তিনিই সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।এরদোয়ান ইতিমধ্যে জানিয়েছেন,নির্বাচনে হারলে শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন তিনি।

এবারের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার।তাদের আট শতাংশ ‘ফার্স্ট-টাইম ভোটার’।অনেকে মনে করেন,তুরস্কে যেসব গ্রুপ এখনো মনস্থির করেননি যে তারা কাকে ভোট দেবেন,তাদের মধ্যে এই গ্রুপটি সবচেয়ে বড়।তবে ২০ বছর বয়সি সালিহ কাকে ভোট দেবেন সেটা তার কাছে পরিষ্কার।বিবিসিকে তিনি বলেন,আমি মনে করি এরদোয়ান একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা।তুরস্কের রাজনীতিতে এ ধরনের ক্যারিশমা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বিশ্বাস করেন, এরদোয়ান তার শাসনামলের বিভিন্ন অর্জনের ওপর ভিত্তি করে তুরস্কের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবেন।

তিনি বলেন,এর আগে তুরস্কে জ্বালানির বিষয়ে অনেক সমস্যা ছিল এবং সামরিক কারণে দেশটিকে অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো।কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের গাড়ি উৎপাদন করছি,ড্রোন ও বিমান তৈরি করছি। এরদোয়ান আমাদের সব সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় সব প্রার্থী এবার তরুণ ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন।এরদোয়ান জোর দিয়েছেন প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির ওপর, কিন্তু বিরোধী প্রার্থী কিলিচদারোগলু আরো বেশি স্বাধীনতা ও উন্নত কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।কিন্তু ২০ বছর বয়সি গিজেম মনে করেন,প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানই তুরস্কে সবার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content