আন্তর্জাতিক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও আবারো রান অফ ভোট

  প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ১:৫২:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও সরাসরি নির্বাচিত হওয়ার মতো যথেষ্ট ভোট না পাওয়ায় রানঅফ ভোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।

এরদোয়ান বা তার বিরোধীদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিরিচতারোলু, কেউই রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ জনসমর্থন আদায় করতে পারেননি।২৮ মে রানঅফ ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এই নির্বাচনকে ২০ বছর ধরে ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী পথে এগিয়ে চলা এরদোয়ানের প্রতি জনগণের রায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই রায় তুরস্ককে কে নেতৃত্ব দিবে শুধু সে সিদ্ধান্তই নেবে না,পাশাপাশি দেশটি আরও সেক্যুল্যার,গণতান্ত্রিক পথে প্রত্যাবর্তন করবে কিনা,ব্যয়বহুল জীবনাযাত্রার সংকট কীভাবে সামাল দেবে এবং রাশিয়া,মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে বজায় রাখবে তাও নির্ধারণ করবে।

রানঅফে জয়ী হবেন,এমন প্রত্যয় জানিয়ে কিরিচতারোলু তার সমর্থকদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।এদোয়ানের পার্টি ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণায় হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

কিন্তু এরদোয়ান নির্বাচনপূর্ব জরিপ ও অনুমানগুলোর চেয়ে ভালো ফল করেছেন আর সমর্থদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসী ও লড়াকু মেজাজ নিয়ে হাজির হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এরদোয়ান বলেছেন, “ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ২৬ লাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছি। আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের সময় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি আমরা।”

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে,প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট গণনার পর এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ৪৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট পাওয়া কিরিচতারোলুর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

এরদোয়ানের হাজার হাজার সমর্থক রাজধানী আঙ্কারায় দলের সদরদপ্তরে জড়ো হয়ে লাউডস্পিকারে দলীয় গান গাইছে ও পতাকা দোলাচ্ছেন।কিছু সমর্থক রাস্তায় নাচানাচি করছেন।

নির্বাচনের ফলাফলে রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা তুরস্কের গভীর রাজনৈতিক বিভক্তি প্রতিফলিত হয়েছে। এই ভোটের ফলে এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন জোট পার্লামেন্টে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে আর তা রানঅফ ভোটে তাকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করা দেশটির ৮ কোটি ৫০ লাখ জনতা এখন দুই সপ্তাহ ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবেন,এ সময় স্থানীয় মুদ্রা ও স্টক মার্কেটের দরপতনের মাধ্যমে বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের।

আরও খবর

Sponsered content