অর্থনীতি

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ১২টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন

  প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২৫ , ৫:৩২:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ১২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে।এর মধ্যে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিদেশি অংশীদারত্ব আছে।আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এমন প্রতিষ্ঠানও আছে যাদের অন্য দেশে ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। আবেদনকারীদের তালিকায় আছে বিকাশ,রবি,বাংলালিংকের অংশীদারত্বে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানও।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়।গতকাল রোববার ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

কারা আবেদন করল
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী,১২টি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদন করেছে।এগুলো হলো—ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি,ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে,আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই,৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি,বুস্ট-রবি,আমার ব্যাংক,অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস,নোভা ডিজিটাল ব্যাংক-বাংলালিংক অ্যান্ড স্কয়ার,মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি,উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক,মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক।

ডিজিটাল ব্যাংক কী
ডিজিটাল ব্যাংক হবে ইন্টারনেট ও অ্যাপ-নির্ভর সেবা। যা যন্ত্রের মাধ্যমে নিতে হবে।এই ব্যাংকের স্থাপনা থেকে কোনো সেবা নেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের ১৪ জুন ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা করে।নীতিমালা অনুযায়ী,ডিজিটাল ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০০ কোটি টাকা।এটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শুধু প্রধান কার্যালয় থাকবে।তবে সেবা প্রদানের জন্য কোনো কার্যালয় থাকবে না।অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) বা বুথ বসিয়ে সেবা দেবে না।ডিজিটাল ব্যাংকের নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম,সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই দেওয়া হবে অ্যাপস,মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে।

ডিজিটাল ব্যাংকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সেবা মিলবে। গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে এই ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য চালু করতে পারবে।তবে লেনদেনের জন্য কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না।এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম,এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।তবে ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে এবং বড় ও মাঝারি শিল্পে কোনো ঋণ দিতে পারবে না।শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে।

আরও খবর

Sponsered content