আন্তর্জাতিক

টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার বিরল অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে শাহজাদার সঙ্গে তাঁর ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেমান

  প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৩ , ২:২৬:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।১০০ বছরের বেশি সময় আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন গুটিকয় মানুষ। আটলান্টিকের তলদেশে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য যেমন অর্থনৈতিক সক্ষমতার দরকার,তেমনি থাকতে হবে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা।দুটিই ছিল পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদের।তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩ হাজার ফুট নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের দেখা হয়নি তাঁর।

পর্যটন ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশনসের টাইটান ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) শাহজাদা দাউদসহ পাঁচ আরোহী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল গত রোববার।যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সাবমেরিনটির।চার দিন গত বৃহস্পতিববার মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান উদ্ধারকারীরা।একই সঙ্গে পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানায়, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ সম্পর্কে অজানা পাঁচ তথ্য—

১. পাকিস্তানের ‘দাউদ’ বংশের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন শাহজাদা দাউদ।টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার বিরল অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে শাহজাদার সঙ্গে তাঁর ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেমান দাউদও টাইটানের যাত্রী হয়েছিলেন।

পাকিস্তানে রয়েছে এই দাউদ পরিবারের বিশাল শিল্পগোষ্ঠী। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের করা তালিকায় শাহজাদা দাউদের বাবা হোসাইন দাউদ ছিলেন পাকিস্তানের শীর্ষ ধনী।

২. পাকিস্তানের ইংরো করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন শাহজাদা দাউদ।করপোরেশনটির গাড়ি উৎপাদন, জ্বালানি,সার ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবসায় ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে।

৩. যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বাকিংহাম থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন শাহজাদা দাউদ। সেটা ১৯৯৮ সালের কথা। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় লেখাপড়া করেন।

৪. শাহজাদা দাউদ পরিবার নিয়ে ব্রিটেনে থাকতেন।স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ছিল তাঁর সুখের সংসার।দাউদ গ্রুপের দেওয়া বিবৃতি বলছে,শাহজাদা দাউদ ফটোগ্রাফি,বাগান করা ও নতুন নতুন জায়গায় যেতে পছন্দ করতেন।

৫.দাউদ পরিবার ১৯৬০ সালে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করে দাউদ ফাউন্ডেশন নামের দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি।শাহজাদা দাউদ প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও খবর

Sponsered content