ইসলাম ও জীবন

জিন শয়তান সর্বদা মানুষের মনে কুমন্ত্রনা দেয় আর মানুষ শয়তান প্রকাশ্যে মন্দ কাজে প্ররোচিত করে!

  প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২৩ , ৫:৩৬:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।শয়তান শব্দটির মধ্যে বিদ্রোহ,অবাধ্যতা, উচ্ছৃঙ্খলতা,পথভ্রষ্টতা,অন্যায় ও অসৎ কাজ করার অর্থ আছে।এসব বৈশিষ্ট্য জিন ও মানুষ উভয়ের মধ্যে থাকতে পারে।জিন জাতির মধ্যে এসব দোষ থাকলে তার নাম হয় জিন শয়তান,তেমনি মানুষের মধ্যে থাকলেও তার নাম মানব শয়তান।

মানুষের মধ্যে যারা অন্যায় কাজ করে,অন্যকে অন্যায়ের আদেশ দেয়,অন্যায় কাজে উৎসাহী করে,তারাই মানব শয়তান।এ জন্য পবিত্র কোরআনের সুরা নাসে জিন শয়তানের কাছ থেকে আশ্রয় গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মানব শয়তান থেকেও আশ্রয়ের নির্দেশ এসেছে।হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘শয়তান দুই প্রকার।জিন শয়তান ও মানব শয়তান।জিন শয়তান সর্বদা মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়।আর মানুষ শয়তান প্রকাশ্যে মন্দ কাজে প্ররোচিত করে।’ (তাফসিরে কুরতুবি, সুরা নাসের তাফসির দ্রষ্টব্য)

কাতাদাহ (রহ.) বলেন, ‘জিনের মধ্যেও শয়তান আছে, মানুষের মধ্যেও শয়তান আছে। তারা নিজ নিজ দলভুক্তদের পাপকাজ শিক্ষা দেয়। তোমরা উভয় শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও।’

ইকরিমা (রহ.) বলেন, ‘মানব শয়তান হচ্ছে তারাই, যারা মানুষকে পাপকাজের পরামর্শ দেয়।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির, সুরা আনআমের ১১২ নম্বর আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য)

একদা আবু জার গিফারি (রা.) এক ব্যক্তিকে বলেন, তুমি কি মানুষ শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চেয়েছ? লোকটি বলল, মানুষের শয়তান আছে কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আছে। অতঃপর তিনি নিচের আয়াতটি পাঠ করেন—মহান আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্য শত্রু সৃষ্টি করেছি—মানুষ শয়তান ও জিন শয়তানদের মধ্য থেকে। তারা কুমন্ত্রণা দেওয়ার জন্য একে অন্যকে কারুকার্য খচিত কথাবার্তা শিক্ষা দেয়।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১১২)

মহান আল্লাহ আমাদের মানবরূপী ও দানবরূপী শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন।

আরও খবর

Sponsered content