রাজনীতি

জালাল হাজী পরিবারের সদস্য হয়েও ওসমান পরিবারের প্রতি মুকুলের সীমাহীন আনুগত্যের কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা মুকুলকে প্রত্যাখ্যান করেছে

  প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২২ , ৫:২৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বিশেষ সংবাদদাতা।। নারায়ণগঞ্জের বিএনপি রাজনীতিতে জালাল হাজী পরিবারের সদস্যদের গ্রহণযোগ্যতা দীর্ঘদিনের। নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে একবার ব্যতীত এ যাবত সব কয়টি নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছেন জালাল হাজী সাহেব একবার আর তার সুযোগ্য পুত্র কালাম সাহেব চারবার।এর মধ্যে তিনবার তিনি বিজয়ী হন।

যাই হোক জালাল হাজী পরিবারের সদস্য হিসেবে আতাউর মুকুল শূন্য থেকে শত কোটি টাকার মালিক হন শুধুমাত্র বিএনপি নামক এমপি কালাম সাহেবের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য নানা কিছুর মাধ্যমে।

তবে মুকুল বিএনপির রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ এর কথা সত্য। তবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের আগ্রহ হিসেবে মুকুল তার আচার-আচরণ দিয়ে ইতিমধ্যে প্রমান দিয়েছেন।

একটি অপ্রিয় সত্য হচ্ছে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সাহেব বর্তমানে অসুস্থ এবং তার বয়সও হয়েছে। যেহেতু আবুল কাওসার আশা বয়সে এখনো তরুণ। তবে যোগ্যতার ব্যাপারে রাজনৈতিক মাঠে আশা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। ইতিমধ্যে সে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। আশার নিজস্ব কর্মী ও সমর্থকাহিনী আছে। এত ঘুম থাকার পরেও জালাল হাজী পরিবার বিশেষ করে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সাহেব মুকুলকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তার সমর্থনেই শূন্য থেকে মুকুল শীর্ষে উঠেছেন।

কিন্তু বিএনপি’র মূল শত্রু হচ্ছে আওয়ামীলীগ। সেই শত্রুর ঘরে মুকুলের সখ্যতা কোনোভাবেই বিএনপির নেতা কর্মীরা মেনে নিতে পারে না। ওসমান পরিবারের প্রতি সর্বশেষ আনুগত্যের নিকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে গত ২৭ শে আগস্ট বন্দর এলাকায় বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। এদিকে একই দিন আলোচিত ও বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ শহরে জনসভার ডাক দেন।

নদীর পশ্চিম পাড় আওয়ামীলীগের জনসভা আর পূর্ব পাড়ে বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের জন আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতাকর্মীরা অনেকদিন পর শামীম ওসমানের শোডাউনের দিনে তাদের পাল্টা সাধারণকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছিল।

কিন্তু “এক মন দুধে এক ফোঁটা চনা যেমন সব দুধ নষ্ট করে দেয়” ঠিক তেমনিভাবে ওসমান পরিবারের আজ্ঞাবহ বিএনপি নেতা মুকুল তাদের খুশি করার জন্য বন্দরের বিএনপির জনসভা স্থগিত করে দেয়।

এতে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি নেতাকর্মী সহ বিএনপির হাইকমান্ড। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ মুকুলের ভাগ্যে আর জুটবে না এটাই চিরন্তন সত্য এবং এটাই বিএনপির চরিত্র। মুকুলের পরিণতি অতি তাড়াতাড়ি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের মত হবে।

আরও খবর

Sponsered content