রাজনীতি

ছিনতাইকারীরা জিএম কাদেরকে চিনতে পারেনি-পুলিশ

  প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ৪:২৩:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।অবশেষে পুলিশের তদন্ত বলছে,জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা কাকতালীয় ছিনতাই।এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পিত ছিনতাইয়ের কোনো তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি।ছিনতাইকারীরা জিএম কাদেরকে চিনতে পারেনি।ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে,ছিনতাইয়ের পর জিএম কাদেরের দেড় লাখ টাকা মূল্যের মোবাইলটি প্রথমে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে ছিনতাইকারীরা।পরে প্রথম ক্রেতা বিক্রি করে দেন আরেকজনের কাছে।তিনি আবার আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন।এভাবে তিন ধাপে বিক্রি হওয়া ওই মোবাইলটি পুলিশ উদ্ধার করে।

আদালত সূত্র জানায়,মামলাটি বিচারের জন্য বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে বদলি করা হয়েছে।সেখানে এ মামলার বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক রুবেল শেখ ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে তদন্তে আজিজুল (২০),আজিজ (২১),ইসমাইল (২৪),সুবল চন্দ্র ঘোস (৩২) ও সানাউল (৩২) নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।এরপর এই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করি।আর অন্যজনের দায় না পেয়ে তাকে অভ্যাহতি দেওয়া হয়।ওই ব্যক্তিকে জিএম কাদেরের গাড়ি চালকের দেখানো মতে গ্রেপ্তার করা হলেও পরবর্তীতে তার জড়িত থাকার তথ্য না পেয়ে তাকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট দাখিল করি।আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন,চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সুবল ও সানাউল জামিনে রয়েছে।তাদের মোবাইলের দোকান রয়েছে।তারা ওই মোবাইলটি কিনেছিলেন।আর আসামিদের মধ্যে ইসমাইল,আজিজ ও আজিজুল সংঘবদ্ধ মোবাইল ছিনতাই চক্রের সদস্য।আজিজ ও আজিজুল ছিনতাই করে আর ইসমাইল ছিনতাইকৃত ফোন কিনে নিজের নেটওয়ার্কে বিক্রি করে থাকে।আজিজ ও আজিজুল মোবাইলটি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়।

গত বছরের ৩১ আগস্ট রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়।তিনি নিজ গাড়িতে যাচ্ছিলেন।গাড়িটি যানজটে আটকে থাকা অবসস্থায় জিএম কাদের মোবাইলটি কানে দিয়ে কথা বলছিলেন।এ সময় গাড়ির খোলা জানালা দিয়ে ছিনতাইকারীরা মোবাইল টান দিয়ে ছিনিয়ে পালায়।

সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে,গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে চোরচক্রের দুই সক্রিয় সদস্য আজিজুল ও আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।আজিজুল ফোনটি চুরি করে।যা পরে গ্রেপ্তার ইসমাইলের কাছে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

আজিজুল ও আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়ে ওই দিন হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়।ইসমাইল মোবাইল ফোনটি ২০ হাজার টাকায় সানাউলের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার তথ্য দেয়।তার দেওয়া তথ্যে বসুন্ধরা সিটি থেকে মোবাইল দোকানি সানাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।সানাউল আবার ওই ফোনটি ২২ হাজার টাকায় সুবলের কাছে বিক্রি করার তথ্য দেয়।পরে সুবলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া মোবাইলফোনটি উদ্ধার করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content