অপরাধ-আইন-আদালত

ছাত্রলীগ নেতাদের এডিসি হারুনের মারধর:- তদন্ত কমিটি আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়েছেন

  প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২:০৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় নির্ধারিত দুই দিনে তেমন কোনও তথ্য বের করতে পারেনি পুলিশের তদন্ত কমিটি।এজন্য আরও পাঁচ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছে তারা।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।তবে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ জানান,আমরা চেষ্টা করেছি দুই দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে। তবে সেটা সম্ভব হয়নি।সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ, সাক্ষ্যগ্রহণ,জিজ্ঞাসাবাদসহ অনেক কাজ বাকি।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিএমপি সদর দফতরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফকে।দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী দুই জন হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।

শনিবার রাতে একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর মারধর করা হয়।পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।

ঢাবি ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়,এডিসি হারুন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন।ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।তখন তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান।সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন।এরপর অবস্থা খারাপ হলে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকেগণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিন দাবি করেছেন,ঘটনার জন্য সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন দায়ী।ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে তিনিই প্রথম হারুনের ওপর হামলা চালান।

আরও খবর

Sponsered content