সারাদেশ

চেহারা নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টে পরিচয় যাচাই চান বরিশালের পর্দানশিন নারীরা

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:২৪:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধি॥পর্দানশিন নারীদের চেহারা নয়। তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাই করা হোক।এই দাবি সহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বরিশালের পর্দানশিন নারীরা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন নগরীর নথুল্লাবাদ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।প্রায় শতাধিক পর্দানশিন নারী এ কর্মসূচি অংশ নেন।

সমাবেশ শেষে বরিশাল বিভাগের পর্দানশিন নারী সমাজের পক্ষে আছমা বুশরা বিনতে ইসলাম বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানের কাছে তাদের তিনটি দাবি সহ স্মারকলিপি পেশ করেন।

তাদের তিনটি হল- ১.বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২.পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এন আই ডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মিলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৩.পর্দানশিন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।

পর্দানশিন নারীরা বলেন,শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তাঁরা বৈষম্যের শিকার। ১৬ বছর ধরে অসংখ্য পর্দানশিন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে।শিক্ষার ক্ষেত্রেও করা হচ্ছে বঞ্চিত।পরিচয় যাচাইয়ে জোর করে বেগানা পুরুষের সামনে চেহারা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে।এসব হেনস্তার অবসান হতে হবে।পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার দেওয়া এবং সব ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে।পর্দানশিন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়,নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।

পর্দানশিন নারীরা আরও বলেন- মানুষের মুখের ছবি পরিবর্তনশীল।সময় ও অবস্থার সাথে মানুষের চেহারার দৃশ্য পরিবর্তন হয়।মুখচ্ছবি পরিচয় যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নয় দাবি করে পর্দানশিন নারীরা তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।তারা বলেন বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ঋণ উত্তোলনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।দেখা গেছে চেহারা পাল্টে এক ব্যক্তির একাধিক পরিচয়ে ঋণ উত্তোলনের মত প্রতারণার ঘটনা ঘটে,দেশে প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে পাড়ি জমায়,কিন্তু যখনই তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যাচাই শুরু হয় তখনই রোহিঙ্গাদের প্রতারণা ধরা পড়ে এবং সমস্যার সমাধান হয়। ছবিকে পুঁজি করে গলাকাটা পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান হয়েছে ই পাসপোর্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে।আবার অনেক অসাধু শিক্ষার্থী চেহারার মিলকে ব্যবহার করে পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটায়।অথচ এসব দুর্নীতি ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ে সহজেই সমাধান করা সম্ভব।ফিঙ্গারপ্রিন্ট এখন সর্বাধুনিক ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম।

আরও খবর

Sponsered content