প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২৫ , ৬:১৪:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।গীতা গোপীনাথের মোট সম্পদ আনুমানিক প্রায় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হচ্ছে,যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।যদিও এই পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. গীতা গোপীনাথ তার পেশাগত জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছেন।তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রথম নারী প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এবছরের আগস্টে তিনি আইএমএফ ছেড়ে আবারও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছেন।
বিশ্ব অর্থনীতির এক শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। আইএমএফ-এর গুরুত্বপূর্ণ পদ,উচ্চ বেতনের একাডেমিক দায়িত্ব ও আন্তর্জাতিক বক্তৃতা সব মিলিয়ে তার উপার্জন তার খ্যাতি ও অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আইএমএফ-এ বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় গোপীনাথ আইএমএফ-এর শীর্ষ বেতনপ্রাপ্তদের একজন ছিলেন। আইএমএফ-এর ২০২১–২২ সালের প্রকাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী,এই ধরনের পদে মূল বেতন সাধারণত বছরে সাড়ে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে।এর সঙ্গে যুক্ত হয় ভাতা,আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সুবিধা,আবাসন সহায়তা ও পেনশন সুবিধা।সব মিলিয়ে বার্ষিক মোট পারিশ্রমিক ৫ লক্ষ ডলারের বেশি হতে পারে।
ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার আগে,২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন আইএমএফ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ।এই পদে বেতন কিছুটা কম হলেও উল্লেখযোগ্য। সাধারণত ৪ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ মার্কিন ডলারের মধ্যে, আলাদা সুবিধা বাদেই।
হার্ভার্ডে একাডেমিক আয়
আইএমএফ-এ কাজ করার আগে এবং পরে,গীতা গোপীনাথ ২০০৫ সাল থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশিষ্ট অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আগে তিনি ছিলেন জন জোয়ানস্ট্রা প্রফেসর অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যান্ড ইকোনমিকস, যার বার্ষিক বেতন সাধারণত ১.৫ থেকে ২ লক্ষ মার্কিন ডলার-এর মধ্যে।
হার্ভার্ডে ফিরে তিনি ‘কফি প্রফেসরশিপ অফ ইকোনমিকস’ পদে কাজ করবেন, যা একটি প্রতিষ্ঠিত চেয়ার ও পদ। এ পদে বেতন সাধারণত ২.৫ থেকে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার বা তার বেশি হতে পারে, সঙ্গে থাকবে গবেষণার জন্য অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা।
মোট সম্পদের আনুমানিক পরিমাণ
গীতা গোপীনাথের মোট সম্পদ আনুমানিক প্রায় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হচ্ছে,যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।যদিও এই পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
এই পরিমাণের মধ্যে রয়েছে:
এক দশকের বেশি সময় ধরে একাডেমিক উচ্চপদে থাকার বেতন,যা ছয় অংকের।
আইএমএফ-এর শীর্ষ পর্যায়ের বেতন এবং সুবিধাদি,যার পাঁচ বছরের মেয়াদে আয় ১.২ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
হার্ভার্ডসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিনিয়োগ ও পেনশন সঞ্চয়।
২০ বছরের বেশি সময় ধরে একাডেমিক ক্যারিয়ার,উচ্চপদস্থ অবস্থানের আয় ও বিনিয়োগের ফলে ৩ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ট বাস্তবসম্মত বলে মনে করা হচ্ছে।
আগস্ট ২০২৫ থেকে হার্ভার্ডে ফিরে যাওয়া গীতা গোপীনাথের নতুন পদ শুধু তার অর্জনের তালিকায় আরেকটি মুকুটই যোগ করবে না,বরং তাকে আর্থিকভাবেও স্থিতিশীল রাখবে।এই পদে সম্মানজনক বেতন ও সঙ্গে গবেষণার জন্য অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বক্তৃতার সুযোগ মিলবে ।
যদিও তিনি আইএমএফ-এর শীর্ষ পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন, তবুও তার গবেষণা,সরকারি অনুদান,পরামর্শদাতা কাজ এবং বক্তৃতার মাধ্যমে আয় অব্যাহত থাকবে,এমনকি বাড়তেও পারে।
তার ক্যারিয়ার দেখায়,কীভাবে জনসেবামূলক দায়িত্ব ও একাডেমিক উৎকর্ষতা একসঙ্গে চলতে পারে।একইসঙ্গে এটি তার বৈশ্বিক প্রভাব ও ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সাফল্যের সমন্বয়ের এক সফল উদাহরণ।











