সারাদেশ

কোরবানির পশু ঈদের ২ দিনের মধ্যে জবাই সম্পন্ন করতে হবে-মেয়র,তাপস

  প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২৩ , ৩:২৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানির পশু জবাইয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ঢাকাবাসীকে ঈদ আনন্দ উপহার দিতে টানা ৭২ ঘণ্টা কাজ করার পরে এ কাজে নিয়োজিত জনবলের বিশ্রাম ও তাদেরকে ঈদ আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিতেই ঢাকাবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন বলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস উল্লেখ করেন।

বুধবার (২১ জুন) খিলগাঁও রেলওয়ে কাঁচাবাজার সংলগ্ন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ আহবান জানান।

মেয়র বলেন,আমি ঢাকাবাসীর কাছে বিনীত নিবেদন করব- যেন দুই দিনের মধ্যেই পশু কোরবানির কার্যক্রমটা সম্পন্ন করা হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সংস্কৃতি যে,তৃতীয় দিনেও কোরবানি দেওয়া হয়।আমরা যেন সেখান থেকে একটু সরে আসি।আমরা যেন সকল কোরবানি প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করি।কারণ একটানা ৭২ ঘণ্টা (ঈদের রাত হতে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু করা হয়) কাজ করার পর আমাদের জনবলকে বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়।তারা কিন্তু ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে না।

কারণ ঢাকাবাসীকে ঈদের আনন্দ উপহার দেওয়ার জন্য, ঢাকাকে পরিষ্কার রাখার জন্য তারা একটানা ৭২ ঘণ্টা কাজ করে।

অতএব মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও আমরা এই নিবেদনটা করব। আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইনশাল্লাহ গতবারের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করতে পারব।’

তিনি বলেন,ঈদুল আযহার কোরবানির পশুর বর্জ্য এবং হাটের বর্জ্য অপসারণ নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকে। আমরা সকল জনবল এবং সকল যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করি এবং আমরা অন্যান্য সংস্থা থেকেও যান-যন্ত্রপাতি নিয়ে থাকি।সুতরাং এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।’

এ সময় এডিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন,আমরা কোনো দায় চাপানো বা দায় নিয়ে কোনো ধরনের আদান-প্রদান করতে চাই না।আমাদের দায়িত্ব নিয়ে আমরা অত্যন্ত ওয়াকিবহাল আছি।গতবছরও আমরা সফলতার সাথে এডিস মশার বিস্তৃতি মোকাবেলা করেছি।আমাদের সকল প্রস্তুতি,সক্ষমতা এবং পরিকল্পনা আছে।প্রত্যেক ওয়ার্ডেই আমাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল নিয়োজিত রয়েছে।সকালে ৭ জন বিকেলে ৬ জন এবং একজন সুপারভাইজর দিনব্যাপী তদারকি করে থাকে।এরপরে আমরা তদারকি করে থাকি। আমরা ১লা শ্রাবণ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করবো। সুতরাং এডিস মশার বিস্তৃতি রোধ করার জন্য আমাদের সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ধাপে ধাপে এটি আরো গতিশীল হবে,বেগবান হবে।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান,প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী,২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো,নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া,সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content